THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA INDIA AGAINST ITS OWN INDIGENOUS PEOPLES

PalahBiswas On Unique Identity No1.mpg

Wednesday, August 28, 2013

আরও সংস্কারের ডাক চিদম্বরমের

আরও সংস্কারের ডাক চিদম্বরমের

এই সময়: টাকার ৬৬৷ চিদম্বরমের ১০৷ 

মঙ্গলবার ডলারের সাপেক্ষে টাকার দর ৬৬.২৪-এ পৌঁছে যাওয়ায় অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে ১০-দফা পরিকল্পনা ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম৷ আরও আর্থিক সংস্কার, কয়লা এবং লৌহ আকরিক ক্ষেত্রের অচলাবস্থা কাটানো, উত্‍পাদন এবং রপ্তানি ক্ষেত্রকে গতি দেওয়া প্রভৃতির মাধ্যমে দেশের বৃদ্ধির হারকে ৮ শতাংশে নিয়ে যায়ওয়ার কথা বলেন অর্থমন্ত্রী৷ এদিন লোকসভায় অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সংক্রান্ত এক বিতর্কে বিরোধীদের জবাব দিতে গিয়ে চিদম্বরম বলেন, 'প্রচুর আর্থিক সংস্কার এবং মুক্ত বাণিজ্য নীতি চায়৷ নিয়ন্ত্রণ চাই না৷ প্রাথমিক ভাবে হয়তো কষ্ট হবে কিন্ত্ত শেষে আমরাই বিজয়ের হাসি হাসব৷' 

রপ্তানি ক্ষেত্র চাঙ্গা করা, বিনিয়োগ ফিরিয়ে আনা, আর্থিক ঘাটতি ও চলতি খাতের ঘাটতি নিয়ন্ত্রণ, শিল্প এবং উত্‍পাদনের ঘুরে দাঁড়ানো, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার প্রকল্প খাতে ব্যয়বৃদ্ধি, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির পুঁজি বাড়ানো, ভালো বর্ষার জেরে কৃষিপণ্যের সঠিক ব্যবহার-১০ দফা নীতিতে এই বিষয়গুলিকেই ছুঁয়ে গিয়েছেন চিদম্বরম৷ পাশাপাশি, কয়লার যথাযথ সরবরাহ, লৌহ আকরিকের আমদানি, জমি অধিগ্রহণ ও পরিবেশ মন্ত্রকের ছাড় প্রভৃতি সমস্যাগুলির উপরও বিশেষ নজর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী৷ 

মঙ্গলবার ৫৯০ পয়েন্ট খুইয়ে ১৭,৯৬৮ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছে সেনসেক্স৷ ধসের মুখে দাঁড়িয়ে রাজ্যসভায় বাজারকে আশ্বস্ত করতে অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম বলেছেন, 'মাথা ঠাণ্ডা রেখে এগোতে হবে আমাদের৷ ধৈর্য ধরতে হবে৷ দৃঢ় মানসিকতা রাখতে হবে৷' 

মঙ্গলবার দেশের বিনিময় ও শেয়ার বাজারে হাহাকার পড়ার পর পরিস্থিতির ব্যাখ্যা দিতে আসরে নামেন চিদম্বরম৷ এদিন সকালে সাংবাদিকদের তিনি জানান, টাকার অবমূল্যায়নে আন্তর্জাতিক কারণের পাশাপাশি আমাদের নিজস্ব 'ভুলও' রয়েছে৷ তাঁর মতে, ২০০৯ থেকে ২০১১ পর্যন্ত নেওয়া নীতির জেরে দেশের আর্থিক ঘাটতি ও চলতি খাতের ঘাটতি বেড়ে গিয়েছে৷ ২০০৮ সালের আন্তর্জাতিক আর্থিক সঙ্কটের হাত থেকে বাঁচতে ভারত সরকার 'আর্থিক ত্রাণ' ঘোষণা করে৷ যার জেরে দেশের ঊর্ধ্বমুখী বৃদ্ধি বজায় থাকে৷ কিন্ত্ত সেটার দাম চোকাতে গিয়ে আর্থিক ঘাটতি ও বৈদেশিক বাণিজ্যের চলতি খাতের ঘাটতি ক্রমশ বেড়ে গিয়েছে৷ 

চিদম্বরমের ব্যাখ্যার আড়ালে কিন্ত্ত পূর্বতন অর্থমন্ত্রীর প্রতি একটু খোঁচা প্রকাশিত হল৷ ২০০৯ থেকে ২৬ জুন, ২০১২ পর্যন্ত দেশের অর্থমন্ত্রী ছিলেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়৷ হয়তো চিদম্বরম বলতে চাইছেন তত্‍কালীন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের নীতির ব্যর্থতাই এখন ভোগ করতে হচ্ছে দেশের অর্থনীতিকে৷ 

তবে চিদম্বরমের আশ্বাস আর্থিক ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে আর্থিক সংহতিকরণের পথে হাঁটছে সরকার৷ আর্থিক ঘাটতিকে মোট অভ্যন্তরীণ উত্‍পাদনের ৪.৮ শতাংশে বেঁধে রাখতে প্রত্যয়ী অর্থমন্ত্রী৷ সোমবার লোকসভায় পাশ হয়ে খাদ্য সুরক্ষা বিল৷ এর জেরে প্রতি মাসে তিন টাকা কেজি দরে পাঁচ কেজি চাল, এবং দু'টাকা কেজি দরে পাঁচ কেজি গম পাওয়া যাবে৷ বিনিয়োগকারীদের আশঙ্কা, সামনের বছরই লোকসভা ভোট৷ সরকার এখন জনমোহিনী ঘোষণা করবেই৷ হয়তো অর্থনীতিকে উপেক্ষা করেই৷ বাজারের দাবি, খাদ্য সুরক্ষা বিলের জেরে সরকারের খাদ্য খাতে ভর্তুকি বাড়বে৷ এবং এর ফলে চলতি বর্ষে সরকারের আর্থিক ঘাটতি ৪.৮ শতাংশের বেশিই হবে৷ কিন্ত্ত অর্থমন্ত্রীর দাবি, আর্থিক ঘাটতিকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রেখেই খাদ্য বিলের রূপায়ণ হবে৷ সাধ্যের বাইরে গিয়ে এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন হচ্ছে না৷ 

আর্থিক ঘাটতির পাশাপাশি চলতি খাতের ঘাটতি নিয়ন্ত্রণের উপরও জোর দিয়েছেন চিদম্বরম৷ তিনি বলেছে, সিএডি এবং মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে জারি হওয়া পদক্ষেপের বার্তা বাজারে ঠিকঠাক পৌঁছছে না৷ তাঁর কথায়, বিনিয়োগ এবং উত্‍পাদন বাড়লেই চলতি খাতের ঘাটতি আপন গতিতে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে৷ এদিন লোকসভাতেও অর্থমন্ত্রী বলেন, বিনিয়োগ সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটি ইতিমধ্যেই ১.৮৩ লক্ষ কোটি টাকা মূল্যের ২৭টি প্রকল্পে অনুমোদন দিয়েছে৷ অর্থনীতির জন্য এটি অত্যন্ত সুখবর৷ চিদম্বরমের আশা, বিনিয়োগ মাথা তুলে চাইলেই চলতি খাতের ঘাটতি সাত হাজার কোটি ডলার বা জিডিপির ৩.৭ শতাংশে বাঁধা থাকবে৷ এপ্রিল-জুনে রপ্তানি নিম্নমুখী ছিল, কিন্ত্ত তা বছরের শেষে ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার আশা থাকছে৷ সেরকমই বিমা-পেনশন-প্রতিরক্ষা থেকে আরও বিদেশি লগ্নি এবং কর ব্যবস্থার সরলীকরণ বর্তমান পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাবে বলে আশা৷

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...