THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA INDIA AGAINST ITS OWN INDIGENOUS PEOPLES

PalahBiswas On Unique Identity No1.mpg

Sunday, October 5, 2014

ছাঁকনি বসছে দেশের অনলাইনে ইমদাদুল হক

ছাঁকনি বসছে দেশের অনলাইনে

ইমদাদুল হক
নতুন বার্তা ডটকম

ঢাকা: তৃতীয় দফা উদ্যোগে দেশের ভার্চুয়াল জগতে ছাঁকনি বসাতে যাচ্ছে সরকার। অনলাইনের কনটেন্ট ফিল্টারিংয়ে নতুন করে আরোপ করা হচ্ছে 'ইন্টারনেট সেফটি সলিউশন' প্রযুক্তি। বিশেষ করে অনলাইন সামাজিক মাধ্যম, ব্লগ, মাইক্রোব্লগ ও অনলাইন মিডিয়ায় প্রকাশিত তথ্যের ওপর নজরদারি করবে এই প্রযুক্তি।  

অনলাইনে প্রকাশিত যেকোনো কনটেন্টের ওপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা বা তা সরিয়ে ফেলার এই সক্ষমতা অর্জনে কাজ করছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন  (বিটিআরসি)। পাশাপাশি ডাটাভিত্তিক সেবা পর্যবেক্ষণ প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে ন্যাশনাল টেলিকম মনিটরিং সেল (এনটিএমসি)।

রাজনৈতিক উসকানিমূলক; ধর্মীয়, সামাজিক ও জাতীয় জীবনের হুমকি এমন তথ্য ও মতামত প্রচার নিয়ন্ত্রণ করতে গত বছর প্রথম উদ্যোগ নেয় বিটিআরসি। তবে দুই দফার উদ্যোগ আলোর মুখ না দেখায় এবার জোরেশোরে এই ব্যবস্থা চালু করতে কাজে নেমেছে তারা। এ জন্য প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার কিনতে দ্বিতীয় দফায় নতুন করে 'এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট' (ইওআই) আহ্বানের উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, প্রথম দফায় গত বছর এপ্রিলে ইন্টারনেট সেফটি সলিউশনের জন্য হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার কিনতে ইওআই আহ্বান করে বিটিআরসি। দরপত্র অনুযায়ী আবেদন করা নয়টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সাতটি প্রতিষ্ঠানকে যোগ্য হিসেবে তালিকাভুক্তও করা হয়।

তবে ইওআই অনুযায়ী, এ ফিল্টারিং ব্যবস্থার আওতায় ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) পর্যায়ে নিজেদের প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার স্থাপন করার কথা ছিল সংশ্লিষ্ট আইআইজি প্রতিষ্ঠানের। পাশাপাশি ইন্টারনেট থেকে অভিযুক্ত বিষয়বস্তু যাচাই-বাছাইয়ের ব্যবস্থা যেন আইআইজির স্বাভাবিক কার্যক্রমে বিঘ্ন না ঘটায় সে বিষয়েও সতর্কতার উল্লেখ ছিল এই ইওআই-তে।

কিন্তু সব শর্ত মেনে প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার কিনে তা কমিশনের মাধ্যমে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হলেও পরে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে কমিশন।
 
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রথম দফার ইওআই বাতিল করে চলতি বছরের এপ্রিলে আবার আবেদন আহ্বান করে বিটিআরসি। দ্বিতীয় দফার ইওআইর প্রক্রিয়া নিয়ে আপত্তি জানায় সিপিটিইউ। এর পরিপ্রেক্ষিতে তা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে এ ব্যবস্থাটি বাস্তবায়নে সাতটি প্রতিষ্ঠানের বদলে কোনো একটি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ফের ইওআই আহ্বানের উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন।
 
এদিকে ইতিমধ্যে ডাটাভিত্তিক সেবা পর্যবেক্ষণে সমান্তরাল প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে ন্যাশনাল টেলিকম মনিটরিং সেল (এনটিএমসি)। প্রকল্পের জন্য গত বছরের অক্টোবরে সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল (এসওএফ) থেকে ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং কমিশনের কাছে আবেদন করে এনটিএমসি।

পরবর্তী সময়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একই বিষয়ে বিটিআরসিকে চিঠি দেয়া হয়। রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা রক্ষা ও সামাজিক কর্তব্য পালনের লক্ষ্যে এনটিএমসিকে এ অর্থ বরাদ্দ দেয়ার সুপারিশ করা হয়।
 
ফলে অনলাইন কনটেন্ট পর্যবেক্ষণ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য নেয়া এই উদ্যোগ থেকে বিটিআরসি ফের সরে গেলেও এনটিএমএসের মাধ্যমে দেশের অনলাইন পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম অচিরেই চালু হবে বলে মনে করেন অভিজ্ঞজনরা।  

নতুন বার্তা/আইএইচ/মোআ

http://www.natunbarta.com/si-tech/2014/10/05/100994/%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A6%BF+%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%9B%E0%A7%87+%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0+%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%87

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...