THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA INDIA AGAINST ITS OWN INDIGENOUS PEOPLES

PalahBiswas On Unique Identity No1.mpg

Tuesday, October 14, 2014

আমাদের মধ্যে আর নেই সংসদে হরিবোল করা মতুয়া সঙ্ঘাধিপতি কপিল কৃষ্ণ ঠাকুর



আমাদের মধ্যে আর নেই সংসদে হরিবোল করা মতুয়া সঙ্ঘাধিপতি কপিল কৃষ্ণ ঠাকুর

পলাশ বিশ্বাস


আজ সকালের কাগজ পড়েই মাথায হাত

জানতাম তিনি অসুস্থ,কিন্তু তাঁর কর্মক্ষমতার সঙ্গে খানিকটা পরিচিত,তাই বার্ধক্যের হানা এবং দীর্ঘ অসুস্থতা সত্বেও আশা করেছিলাম তিনি আবার সুস্থ হয়ে উঠবেন


তিনি বনগাঁর সাংসদ কপিল কৃষ্ণ ঠাকুর মতুয়া মহাসংঘের বড়মা বীণাপাণি দেবীর বড় ছেলে তিনি। গত তিন মাস ধরে ভুগছিলেন জনডিসে। দিল্লির দুটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিত্‍সার পর আজ সকালে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ তাঁর জীবনাবসান হয়। বয়স হয়েছিল আটাত্তর ।


ভারতের পশ্চিমবঙ্গের  বনগাঁ কেন্দ্রের সাংসদ কপিল কৃষ্ণ ঠাকুর প্রয়াত হলেন। কোলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে তিনি আজ (সোমবার) মারা যান।


মৃত্যুর খবর পেয়েই  হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসপাতালে যান মুকুল রায়, মদন মিত্র, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সহ  তৃণমূলের নেতা কর্মীরা।  শেষ শ্রদ্ধা জানাতে মঙ্গল ও বুধবার ঠাকুরনগরে রাখা থাকবে তাঁর দেহ। বৃহস্পতিবার তাঁর অন্ত্যেষ্টি ।


Mamata Banerjee

21 hours ago

I am deeply pained at the untimely passing away of Kapil Krishna Thakur, our MP from Bongaon and Head of Matua Mahasangha.


We are with his family and my brothers and sisters of Matua Community at this moment of grief.


May the departed soul rest in peace.



মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল  আটাত্তর বছর। তিনি চলতি বছরের মে মাসে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে বনগাঁ (তপশিলি) সংরক্ষিত কেন্দ্রে এমপি নির্বাচিত হন।  



তিনি সারা জীবন বামপন্থী ছিলেন এবং হঠাত লোকসভা ভোটের আগে তৃণমুলে গিযে বাবা প্রমথ রন্জন ঠাকুরের মতই সংসদে গিয়ে হরিবোল জযধ্বনে দিয়েছিলেন


প্রচলিত সংবাদ মাধ্যমের মত,ভাটব্যান্কের অন্ক নিযে আমার মাথা ব্যথা নেই

তিনি মতুয়া সঙ্ঘাধিপতি ছিলেন


পূর্ব বাংলার পূর্ব পুরুষদের মতুয়া আন্দোলনের তিনিই শেষ  ধ্বজাবাহক, সেনাধিপতি মতুয়া বাহিনীর


তিনি মতুয়া আন্দোলনকে কোথায় রেখে গেলেন,সেই চিন্তাটাই সবচেয়ে বড়

শেষপর্যন্ত বাংলার জাতি ধর্ম নির্বিশেষ কৃষক আন্দোলনের মূল প্রতিনিধিত্ব ক্ষমতার রাজমনীতিতে হারিয়ে গেলেই সাঢ়ে সর্বনাশ,হরিচাঁদ গুরুচাঁদ মতাগদর্শের মানুষদের এ কথাটি মনে রাখতে হবে।  


পিআর ঠাকুরের সঙ্গে ঠাকুরনগরে বাবার সঙ্গে গিয়ে একাবর মাত্র দেখা হয়েছিল সেই 1973 সালে,মানুষটি তখন সাংসদ ছিলেন না বোধ হয়,কিন্তু তাঁকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয নি।  


আমার জেঠিমার মা,আমার দিদিমা ঔ ঠাকুর বাড়িরই মেয়ে,কপিল কৃষ্ণ ঠাকুর কথাটি মনে রেখেছিলেন,এবং সেই সূত্রে আমার মতামতকতে গুরুত্বও দিতেন,আমার সৌভাগ্য।  


ষাটের দশকে বড়মাকে নিয়ে তিনি বাসন্তীপুরে আমাদের বাড়িতে গিয়েছিলেন এবং ঠাকুরনগরে যখন সবিতা আর আমি যাই শেশবার,সেকথা তিনি মনেও করেছিলেন।  


তবূ সেবার তিনি বলেছিলেন আম্বেডকরকে নিয়ে কোনো আলোচনা করব না

কিন্তু তারপর চন্দ্রপুরে যাই,ত তিনি মতুয়া কেন্দ্রের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন

বাহালি উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্বের আন্দোলনে তাঁ পুরোদম সমর্থন ছিল এবং এই প্রসঙ্গেই সেবার তাঁর সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছিল।  


তারপর তিনি ক্ষমতার অলিন্দে কোথায় ধরা ছোঁযার বাইরে চলে গেলেন,আর যোগাযোগ হইনি,তবু তাঁর স্বচ্ছ ভাবমুর্তি ও আন্তরিকতার ছবি এতটুকু ম্লান হয়নি কোনো দিন।  


আজ তাঁকে হারানোর খবর বড়ই বেদনাদাযক।  


সেই কবে ষাটের দশকে তিনি বাসন্তীপুর গিয়েছিলেন এবং ঘটনাচক্রে আজ আবার আমি বাসন্তীপুর যাচ্ছি দীর্ঘ সাত বছর পর,সেখানকার মাটিতে তাঁর পরশ পাইকি না দেখবো।  


পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, কপিলকৃষ্ণ বাবু বার্ধক্যজনিত কারণে কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তা ছাড়া তিনি জণ্ডিসেও ভুগছিলেন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বনগাঁর বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। তিনি জানান, 'তার মৃত্যুতে  দলের অপূরণীয় ক্ষতি হল। তিনি হঠাৎ করে এভাবে চলে যাবেন আমরা বুঝতে পারিনি। এছাড়া কপিল বাবু মতুয়া মহাসংঘের  সংঘাধিপতি ছিলেন। সমস্ত মতুয়া ভক্তের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।'   

গত মে মাসে লোকসভা নির্বাচনের সময় ঠাকুর নগরের ঠাকুর বাড়ি তথা মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতি সম্মান জানাতে বনগাঁ কেন্দ্রে কপিল কৃষ্ণ ঠাকুরকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


বিশেষ করে কপিল বাবুর মা তথা সব মতুয়া ভক্তের শ্রদ্ধাভাজন বীণাপাণি ঠাকুরের (বড় মা) প্রতি  ভালবাসার নিদর্শন হিসাবে  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরকে এমপি করবেন বলে মনস্থির করেন।  


এমপি নির্বাচিত হওয়ার তিন মাসের মধ্যেই গত ১ সেপ্টেম্বর তিনি শ্রম বিভাগের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য হয়েছিলেন।

কপিল কৃষ্ণ ঠাকুরের  ছোট ভাই মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর  বর্তমানে  পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্বাস্তু পুনর্বাসন দফতরের মন্ত্রী।  

কপিল কৃষ্ণ ঠাকুরের প্রয়াত বাবা প্রমথরঞ্জন ঠাকুর বা পিআর ঠাকুরও ১৯৬২ সালে বিধান চন্দ্র রায়ের মন্ত্রীসভায় উপজাতি কল্যাণ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। দু'বার বিধায়কও হয়েছিলেন তিনি। ১৯৬৭  সালে তিনি নবদ্বীপ লোকসভা কেন্দ্র থেকে এমপি নির্বাচিত হন।  

প্রয়াত এমপি কপিল কৃষ্ণ ঠাকুর মতুয়া মহাসংঘের প্রধান ছিলেন। তার  মৃত্যুর খবর ছড়াতেই অসংখ্য ভক্ত অনুরাগী ভিড় জমিয়েছেন গাইঘাটার ঠাকুর নগরের ঠাকুর বাড়িতে। তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বহু তৃণমূল নেতা কর্মীরা  ভিড় করে রয়েছেন তার বাসভবনে। সকলেই তার পার্থিব দেহ কোলকাতা থেকে আসার অপেক্ষায় রয়েছেন।#



RIP Kapil Krishna Thakur - Trinamool MP and Matua scion

October 13, 2014


Trinamool Congress Lok Sabha MP Kapil Krishna Thakur (78) breathed his last today in a city hospital. He was one of the scions who had from a very early life fought for upliftment and social welfare of the Matua community. He is survived by his wife.

He was the elder son of Binapani Debi Thakurani (Baroma), the leader of Matua community and great grandson of Shri Shri Guruchand Thakur. He had been the Sanghadhipati of Matua Mahasabha.

Kapil Krishna Thakur had been elected from the Bongaon constituency in the 2014 Lok Sabha elections, defeating his nearest rival by almost one and a half lakh votes.

After being elected as MP, he was a Member of the Standing Committee on Labour.

A graduate of the Calcutta University, he had been a recipient of the prestigious Sri Sri Thakur Harichand-Guruchand prize for his sustained work among the Matuas to uplift them.

---

তৃণমূল লোকসভা সাংসদ শ্রী কপিল কৃষ্ণ ঠাকুর আজ কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।  বর্তমানে তাঁর স্ত্রী জীবিত। তিনি মতুয়া সঙ্ঘমাতা বীণাপাণি দেবী ঠাকুরের (বড়মা) বড় ছেলে এবং শ্রী শ্রী গুরুচরণ ঠাকুরের প্রপৌত্র।

তিনি বনগাঁর মনিগ্রাম হাই স্কুল থেকে পাশ করার পরে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন। তিনি জীবনের প্রথম থেকেই বনগাঁর মতুয়া সম্প্রদায়ের সামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি বনগাঁয় বহু উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন।

কপিল কৃষ্ণ ঠাকুর মতুয়া সঙ্ঘের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। মতুয়া গোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য তিনি শ্রী শ্রী ঠাকুর হরিচন্দ্র-গুরুচন্দ্র পুরস্কার পেয়েছিলেন।


No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...