হিমাদ্রি সরকার, সূর্যকান্ত কুমার ও বিশ্ব ভট্টাচার্য
পাঁচ বছর আগে গ্রাম দখলের লড়াইয়ে পরিবর্তনের হাওয়ার মধ্যেও বর্ধমানে সাইনবোর্ড হয়েই থেকে গিয়েছিল কংগ্রেস-তৃণমূল জোট৷ এ বার জোট হয়নি৷ কিন্ত্ত একা তৃণমূলের ধাক্কাতেই মাটিতে মিশল ৩৪ বছরের লাল দুর্গ৷ গ্রামীণ এলাকা থেকে আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল, কামড় বসানো তো দূরের কথা, কোথাও দাঁতই ফোটাতে পারেনি সিপিএম তথা বামফ্রন্ট৷ ২০০৮-এর পঞ্চায়েত ভোটে ২৭৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ২০২টি ছিল বামেদের দখলে৷ বিরোধী জোটের ভাগে গিয়েছিল ৬৩টি, যার মধ্যে তৃণমূল পেয়েছিল ৪২টি৷ আর সোমবার সন্ধে পর্যন্ত ঘোষিত ২৪৮টি আসনের মধ্যে ১৮২টিই গিয়েছে একা তৃণমূলের দখলে৷ বামেদের দখলে? ৪২! উলটপুরাণই বটে৷
ফল যে এমনটা হবে, তা সম্ভবত ভোটের আগেই আঁচ পেয়েছিলেন সিপিএমের জেলা সেনাপতিরা৷ তাই হয়তো ফেস্টুন-মিটিং-মিছিল-প্রচার কোথাও অস্তিত্বই টের পাওয়া যায়নি বামেদের৷ বর্ধমান গ্রামীণ এলাকায় মঙ্গলকোট-কেতুগ্রাম-ভাতার-আউশগ্রাম অথবা শিল্পাঞ্চলের রানিগঞ্জ-জামুড়িয়া, যে সব এলাকায় একসময়ে প্রার্থী দিতে না-পারা বা বুথে এজেন্ট বসতে না-দেওয়ার অভিযোগ করত তত্কালীন বিরোধীরা, এ বার সে সুর শোনা গিয়েছে তাবড় বাম নেতাদের গলায়৷ একসময় ভোটের দিন জেলা নেতারা খবর নিতেন, কোথাও বিরোধীরা বেশি বাড়াবাড়ি করছে কি না, কোথাও দলের ক্যাডারদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে কি না৷ আর এ বার সিপিএমের সেই জেলা নেতাদের গলায় অন্য সুর, 'কোথাও আমাদের এজেন্টকে বসতে দেওয়া হচ্ছে না৷'
কিন্ত্ত এই হাল কেন? একসময় মেমারি, মঙ্গলকোট বা কেতুগ্রামে যে নেতারা ভোট পরিচালনা করতেন, তাঁরাই এ বার ঘরছাড়া৷ কাদের ভরসায় বুথে বসবেন এজেন্টরা? পাশাপাশি সিপিএমের কৃষকসভার প্রবীণ নেতা বিনয় কোঙারের খাসতালুক বর্ধমানের একটা বড় অংশে বঞ্চিত কৃষকরাই৷ তাঁরা মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় ভরাডুবি হয়েছে বামেদের৷ রানিগঞ্জ-জামুড়িয়া শিল্পাঞ্চলে মোটামুটি একই চিত্র৷ জামুড়িয়ায় ন'টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মাত্র একটিতে জিতেছে বামেরা৷ গত প্রায় চার দশকে যে রানিগঞ্জে কোনও দিন হারেনি সিপিএম, সেখানেও ধুয়েমুছে সাফ৷
এই ফলাফলের পরও অবশ্য পূর্বতন বিরোধীদের সুরে সন্ত্রাসেরই অভিযোগ করেছেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক অমল হালদার৷ তাঁর অভিযোগ, 'গণনা টেবিলেও সন্ত্রাস হয়েছে৷ আমাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে৷' তৃণমূলের জেলা সভাপতি মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ অবশ্য বলেছেন, 'কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়াবাড়ি না-করলে এবং কয়েক জায়গায় সিপিএম সন্ত্রাস না-করলে ফল আরও ভালো হতে পারত৷'
পাঁচ বছর আগে গ্রাম দখলের লড়াইয়ে পরিবর্তনের হাওয়ার মধ্যেও বর্ধমানে সাইনবোর্ড হয়েই থেকে গিয়েছিল কংগ্রেস-তৃণমূল জোট৷ এ বার জোট হয়নি৷ কিন্ত্ত একা তৃণমূলের ধাক্কাতেই মাটিতে মিশল ৩৪ বছরের লাল দুর্গ৷ গ্রামীণ এলাকা থেকে আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল, কামড় বসানো তো দূরের কথা, কোথাও দাঁতই ফোটাতে পারেনি সিপিএম তথা বামফ্রন্ট৷ ২০০৮-এর পঞ্চায়েত ভোটে ২৭৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ২০২টি ছিল বামেদের দখলে৷ বিরোধী জোটের ভাগে গিয়েছিল ৬৩টি, যার মধ্যে তৃণমূল পেয়েছিল ৪২টি৷ আর সোমবার সন্ধে পর্যন্ত ঘোষিত ২৪৮টি আসনের মধ্যে ১৮২টিই গিয়েছে একা তৃণমূলের দখলে৷ বামেদের দখলে? ৪২! উলটপুরাণই বটে৷
ফল যে এমনটা হবে, তা সম্ভবত ভোটের আগেই আঁচ পেয়েছিলেন সিপিএমের জেলা সেনাপতিরা৷ তাই হয়তো ফেস্টুন-মিটিং-মিছিল-প্রচার কোথাও অস্তিত্বই টের পাওয়া যায়নি বামেদের৷ বর্ধমান গ্রামীণ এলাকায় মঙ্গলকোট-কেতুগ্রাম-ভাতার-আউশগ্রাম অথবা শিল্পাঞ্চলের রানিগঞ্জ-জামুড়িয়া, যে সব এলাকায় একসময়ে প্রার্থী দিতে না-পারা বা বুথে এজেন্ট বসতে না-দেওয়ার অভিযোগ করত তত্কালীন বিরোধীরা, এ বার সে সুর শোনা গিয়েছে তাবড় বাম নেতাদের গলায়৷ একসময় ভোটের দিন জেলা নেতারা খবর নিতেন, কোথাও বিরোধীরা বেশি বাড়াবাড়ি করছে কি না, কোথাও দলের ক্যাডারদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে কি না৷ আর এ বার সিপিএমের সেই জেলা নেতাদের গলায় অন্য সুর, 'কোথাও আমাদের এজেন্টকে বসতে দেওয়া হচ্ছে না৷'
কিন্ত্ত এই হাল কেন? একসময় মেমারি, মঙ্গলকোট বা কেতুগ্রামে যে নেতারা ভোট পরিচালনা করতেন, তাঁরাই এ বার ঘরছাড়া৷ কাদের ভরসায় বুথে বসবেন এজেন্টরা? পাশাপাশি সিপিএমের কৃষকসভার প্রবীণ নেতা বিনয় কোঙারের খাসতালুক বর্ধমানের একটা বড় অংশে বঞ্চিত কৃষকরাই৷ তাঁরা মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় ভরাডুবি হয়েছে বামেদের৷ রানিগঞ্জ-জামুড়িয়া শিল্পাঞ্চলে মোটামুটি একই চিত্র৷ জামুড়িয়ায় ন'টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মাত্র একটিতে জিতেছে বামেরা৷ গত প্রায় চার দশকে যে রানিগঞ্জে কোনও দিন হারেনি সিপিএম, সেখানেও ধুয়েমুছে সাফ৷
এই ফলাফলের পরও অবশ্য পূর্বতন বিরোধীদের সুরে সন্ত্রাসেরই অভিযোগ করেছেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক অমল হালদার৷ তাঁর অভিযোগ, 'গণনা টেবিলেও সন্ত্রাস হয়েছে৷ আমাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে৷' তৃণমূলের জেলা সভাপতি মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ অবশ্য বলেছেন, 'কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়াবাড়ি না-করলে এবং কয়েক জায়গায় সিপিএম সন্ত্রাস না-করলে ফল আরও ভালো হতে পারত৷'
No comments:
Post a Comment