THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA INDIA AGAINST ITS OWN INDIGENOUS PEOPLES

PalahBiswas On Unique Identity No1.mpg

Thursday, May 29, 2014

লাল আলো নিভলে সবুজ আলো কিন্তু জ্বলছে না,গ্রামকে শহর করার উন্নয়ণে দিদির আবার লালে উত্তরণ পদ্মপ্রলয়ের মধ্যিখানে!

লাল আলো নিভলে সবুজ আলো কিন্তু জ্বলছে না,গ্রামকে শহর করার উন্নয়ণে দিদির আবার লালে উত্তরণ পদ্মপ্রলয়ের মধ্যিখানে!

পলাশ বিশ্বাস

প্রসঙ্গঃ

সিপিএম মুছে গেলে তৃণমূলের বিপদ

বামপন্থীরা মুছে গেলে আপাতদৃষ্টিতে তৃণমূলের খুব খুশি হওয়ার কথা। কিন্তু সেই মুছে যাওয়া স্লেটে বিজেপি যদি নিজের অঙ্ক কষতে এবং মেলাতে শুরু করে, সরকার-বিরোধী শক্তি যদি ক্রমশ তার দিকে কেন্দ্রীভূত হয়? জয়ন্ত বসু।

http://www.anandabazar.com/editorial/%E0%A6%B8-%E0%A6%AA-%E0%A6%8F%E0%A6%AE-%E0%A6%AE-%E0%A6%9B-%E0%A6%97-%E0%A6%B2-%E0%A6%A4-%E0%A6%A3%E0%A6%AE-%E0%A6%B2-%E0%A6%B0-%E0%A6%AC-%E0%A6%AA%E0%A6%A6-1.35773


লাল আলো নিভলে সবুজ আলো কিন্তু জ্বলছে না,গ্রামকে শহর করার উন্নয়ণে দিদির আবার লালে উত্তরণ পদ্মপ্রলয়ের মধ্যিখানে!


দিদির পরীক্ষায় দুচার অভাগা অভাগী ছাড়া সবাই লেটার!

রাজ্যের বাজেটের হিসাব খাতাখানি খোলা হল,কিন্তু যে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযোগ সেই লালে লাল বিপ্লবের 1977 সাল থেকে পরিবর্তন জমানার মা মাটি সরকার রাজত্বেও,তা মিলিয়ে যে 78 কোটি টাকা খরচ হওয়ার কথা ছিল,সে হিসাব করেননি দিদি!


দিদি হিসাব করেননি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকার শেষ পর্যন্ত কি হল!


মোদীর শপথ গ্রহণের আগে ও পরে মানুষের ট্যাক্সের টাকায় কাগজে কাগজে দেদার উন্নয়নের বন্যা বইয়ে বাংলা এক নাম্বারের উচ্চকিত ঘোষণায় মোদী যাদের ধরেছেন আষ্টে পৃষ্ঠে,সেই 18 থেকে 35 বছরের রুজি রোজগারের ব্যবস্থা কিন্তু হচ্ছেই না!


প্রাথমিক শিক্ষক পদে 47 লক্ষ প্রার্থী যে রাজ্যে স্বাভাবিকের সত্য কিন্তু বিচিত্র সমাজ বাস্তব,কোটি চাকরির ছিটে ফোঁটাও যদি না দিতে পারেন দিদি,ত 34 সীটে 34 সালের বিপর্যয় ঘনিয়ে আসবেই!


হিন্দিতে ইংরেজিতে আমি ও আমার বন্ধু বাবা সাহেব আম্বেডকর সাহেবের নাত জামাই এবং ভারতবর্ষে তথ্য প্রযুক্তি আমদানিতে যে ব্যক্তির স্যাম পিত্রোদার মতই অবদান এবং যিনি ঘটনাচক্রে আমাদেরই খড়গপুর আইআইটিতে অধ্যাপক আজকাল,বার বার লিখেছি আইডেন্টিটি পলিটিক্স দিয়ে ক্ষমতা দখল হয়,ভোট জেতার মেরুকরণ হয়,সত্যিকারের পরিবর্তন হয় না!


আমারা বার বার লিখেছি,আম্বেডকরের জাতি বিনাশ প্রকল্পকে পিছনে ফেলে সংরক্ষণ রাজনীতিতে শক্তশালী গুটি কয়েক জাতির ক্ষমতা দখল হলেও ছ হাজার জাতির ও বেশি ভাগে বিভক্ত হিন্দু সমাজের উন্নয়ন ধর্মের ও বিপ্লবের জিগির তুলে নিতান্তই চরম বিশ্বাসঘাতকতা!


আদিবাসীরা ত বর্ণবৈষম্যের বধ্যভূমিতে জল জমি জহ্গল নাগরিকত্ব হারাচ্ছেনই!


যে নজরুল ইসলাম আপনার চক্ষুশুল তিনি আমার চাইতে হাজার গুণ ভালো বাংলায় বুঝিয়ে দিয়েছেন,মুসলিমদের কি করণীয় এবং তাঁদের জন্য হচ্ছেটা কি!


দিদি,  হরিবোল না বলে,মাতাম না দিয়ে,ধুলো কাদা না মেখে,পুরোহিত বর্জন না করে,আপনি মতুয়া!


দিদি,আপনি লালু সংহারক উপেন বিশ্বাসকে মন্ত্রী করে সার্বজনীন জীবনের দায়বদ্ধতা থেকে ভ্যানিশ করেছেন!


দিদি,আপনি মাতা বীণাপাণিদেবির এক সন্তানকে কিছু না করার জন্যই কেবিনেট মন্ত্রী করেছেন অন্যজনের লাল রং নজরআন্দাজ করে সংসদে পাঠিয়েছেন!


মতুয়া ভোট দখলের জন্যমরিচঝাংপি গণহত্যার ধুয়ো তুলেছেন,কিন্তু তদন্ত আজও শুরু করেননি,কারণ সেই দিন যাদের হাত রাঙা হয়েছিল মতুয়া দলিত শরণার্থী রক্তে,তাঁদের অনেকেই আপনার ক্ষমতাদখলের উত্সমুল!


আপনি ভোটের আগে বলেছেন,বাংলাদেশি বলে কাউকে তাড়াতে হলে,সবার আগে আপনাকে তাড়াতে হবে!

হরিপালের রাজ্যাভিষেক মিটতে না মিটতে,মুকুল রায় ও অমিত মিত্রের প্রথম সারিতে বসে মিষ্টিমুখ করে ফিরতে না ফিরতে রাজ্যে রাজ্যে বাংলাদেশি বিতাড় শুরু,আবার বাংলাতে কথা বললেই বাংলাদেশি!


মা মাটি মানুষের সরাকরি রাজত্ব সেই শ্রীরামপুরি মেরুকরণ ও আপনার 34 সীট প্রাপ্তি ও খাস ভবানীপুরে লজ্জাজনক প্রত্যাথিক হোযার অন্তরাল পেরিয়ে গ্রেফ্তার বাংলাদেশির সংখ্যা এক শ ছাড়িয়েচে,সবাই কি বাংলাদেশি!

ভোটের জন্য যে ভাষায় যুদ্ধঘোষণা করেছিলেন আপনি,আসল যুদ্ধের সময় আপনি সেখানে থাকছেনই না!


থাকতে পারেন না,কারণ,আপনি নাগরিকত্ব সংশোধণী বিল পাশ করার সময় গৌরিক সরকারে রেল মন্ত্রী ছিলেন,যার পক্ষে বিলটি পাশ করেছিলেন লালকৃষ্ণ আডওয়াণী দায়িত্ব ত আপনারও ভূমিকা ত আপনারও মরিচঝাঁপির সময়েও আপনি ছিলেন জঙ্গী কংগ্রেস নেতা,কোনো বারই আপনি ব্রাত্য জনের পক্ষে দাঁড়াননি!


অথচ মোদী যখম সুনিয়োজিত মেরুকরণের জন্য অনুপ্রবেশকারি বনাম শরণার্থী তত্ব দিয়ে ভারত ভাগের দ্বিরাষ্ট্র বিপর্যয় জেকে আনলেন সব বাংলাভাষাভাষিদের জন্য,আপনি সিপিএম কংগ্রেস শেষ করার তাকীদে এতদিন নির্বাক অবাক থাকার পরে কোথাকার কে হরিদাসপালের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে আপনার এই সাধের সবুজ দ্বীপে পদ্মের চাষ আমদানি করলেন!


আপনার শিরঃপীড়া যথার্থই!


কিন্তু দিদি সন্ত্রাস দিয়ে,কংগ্রেস এবং সিপিএম শেষ করলে জাতের রাজনীতি করলে যেমন হিন্দু জাতীয়তা উন্মাদের স্বার্থ সিদ্ধি হয়!


এবং যা করতে গিয়ে মুলাযম,লালূ, নীতীশ, মায়াবতীর হাত ধরে ধরে বাম নেতৃত্ব সারা দেশে বামপন্থার মৃত্যুঘন্টা বাজিয়ে দিয়েছেন!


আপনিও বুঝতে পারলেন না যে লাল নিভলে সব সময় সবুজ হবে,এমনটা ট্র্যাফিকে হলেও রাজনীতিতে হয় না আর দিকে দিকে লাল নিভে পদ্ম হয়ে গেল!


আপনি পৌর নির্বাচনেও ভয় পাচ্ছেন এবং ঘটনা হল আপনার বিধানসভা এলাকায় আপনি জনগণের আস্থা হারিয়েছেন,আপনার সবুজ দ্বীপের এপিসেন্টার অন্ততঃ কুড়িটি সংসদীয় এলাকায় আপনি কংগ্রেস সিপিএম নিকেশ করে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছেন অবশ্যই,কিন্তু আপনার এবং অবশ্যই বাম ও কংগ্রেস ভোট কেটে দিক্ দিগন্তে পদ্মগন্ধে মম!


এমনকি আপনার সাধের সিঙ্গুরেও যে টাটাকে অনশন আন্দোলনে বাংলা ছাড়া করেছেন,তাঁরাই নেনো বাঁচানোর আন্দোলন শুরু করেছেন একালের আপনারই অনুগামিরা গৌরিক পতাকা নিয়ে.যারা আবার সবাই এক সময় লালে লাল  ছিলেন সবাই!


পরিবর্তন চক্র থামে না,থামবে না!


যারা লাল ছিলেন.তাঁরা সবুজ হলেন এবং তাঁরাই আবার গৌরিক!

পারলে সময় করে সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলনের সময় বাম জমানার হিমালয়ী ভুলের তালিকাটি আরেকবার দেখে নিন,যেহেতু আপনিও সেই রাস্তাতেই হাঁটছেন!


দিদি, আপনি জানেন না,চল্লিশ বছর পর পাণিহাটিতে বাম দখল মক্ত করে সবুজায়মের ফলে আমরা পাণীয় জল কিনে প্রাণধারণ করছি,আপনার ভায়েরা সময় করে জনগণের দুঃখ তকলিফ বুঝতেই চাননা!


এলাকা দখল করে পরিবর্তন তে বামেরাও করেছিল তবু তাঁদের 34 সাল ক্ষমতা ছিল!


বুদ্ধবাবু একদিন আপনাকেই চ্যালেন্জ করে বলেছিলেন- আমরা 235!


আপনিও বামবধে বার বার উচ্ছসিত,উচ্চকিত!


কিন্তু গ্রামকে শহর করার আপনার বামপন্থায় উত্তর দক্ষিণ 24 পরগণা,হাওড়া হুগলি, নদীয়া, বর্দ্ধমান, মালদহ, মুর্শিদাবাদ সর্বত্রই কিন্তু আপনি সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের পত্তন করছেন!


আপনি কাশ্মীর প্রসঙ্গে একটি কথা ও বলছেন না কেন!

370 নিয়ে আপনি মন্তব্য করছেন না কেন!


রাজ্য সরকার আগেই জানিয়েছিল, জুন-জুলাইয়ে নির্ধারিত সময়ে এই ১৭টি পুরসভায় ভোট করতে তারা নারাজ৷ এ বার এই ১৭টি পুরসভার মধ্যে যে সাতটি রাজ্য মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তমতো কর্পোরেশন এলাকায় পড়বে, সেগুলিতে ডিলিমিটেশন বা সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ শুরু করল প্রশাসন৷ ডিলিমিটেশনের পর হবে আসন সংরক্ষণের কাজ৷ রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কমপক্ষে চার মাস সময় লাগবে৷ আইন অনুযায়ী, ডিলিমিটেশনের পর আসন সংরক্ষণ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে ভোট করতে হবে৷


এই সাতটি পুরসভা ছাড়া বাকি ১০টি পুরসভাতেও নির্ধারিত সময়ে ভোট হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই৷ ১৭টি পুরসভায় ভোট কবে হবে? জবাবে মঙ্গলবার পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'আমরা একসঙ্গে ভোট করব৷ পুরসচিব ইতিমধ্যেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, ডিলিমিটেশনের কাজ শুরু হয়েছে৷ তা শেষ হওয়ার পরেই নির্বাচন হবে৷' সরকারি সূত্রে খবর, ভোট একদিনেই হবে৷ তবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে এখনও পর্যন্ত কোনও চিঠি পৌঁছয়নি৷ কমিশনের এক কর্তা বলেন, 'আমরা সরকারের থেকে এ ব্যাপারে কোনও চিঠি এখনও পর্যন্ত পাইনি৷'


যে ১৭টি পুরসভায় আগামী ১৪ থেকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে বর্তমান বোর্ডের মেয়াদ শেষ হচ্ছে, তার মধ্যে মধ্যমগ্রাম, রাজারহাট-গোপালপুর, মহেশতলা, দমদম এবং দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকা পুনর্বিন্যাস করে প্রস্তাবিত চারটি নতুন কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত হবে বলে সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ এই পাঁচটি ছাড়াও কুলটি পুরসভা এলাকা যুক্ত হবে আসানসোল কর্পোরেশনে৷ ফলে আসানসোল কর্পোরেশন এবং বাকি ৬টি পুরসভায় ডিলিমিটেশন এবং আসন সংরক্ষণ প্রক্রিয়া হয়ে যাওয়ার পরেই নির্বাচন হবে৷ পুরবোর্ডগুলির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট পুরসভাগুলির কাজ চালানোর জন্য সরকার প্রশাসক বসাবে৷ এতে অবশ্য কোনও অসুবিধা নেই বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম৷ তাঁর কথায়, 'জনগণের স্বার্থে প্রশাসক বসানোই যায়৷ অতীতে কলকাতা পুরসভায় দীর্ঘ দিন প্রশাসক হিসাবে দায়িত্ব সামলেছেন প্রশান্ত শূর৷'


পুরনির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে কেউ সরকারি ভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি৷ এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল এমকে নারায়ণনের সঙ্গে দেখা করে তাঁর হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করেছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে৷ কমিশন সূত্রে খবর, এ ব্যাপারে রাজ্যপালের মতামত জানার পরেই কমিশন পরবর্তী পদক্ষেপ করবে৷ নির্ধারিত সময়ে ভোট নিশ্চিত করতে আদালতে যাওয়া হবে কি না, সে ব্যাপারেও কমিশন আইনি পরামর্শ নিচ্ছে৷


রাজ্যে নতুন আরও ৫ পুরসভা


mamata

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে বাড়ানো হচ্ছে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের সংখ্যা। সোমবার নতুন ৫টি পুরসভা তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে। নতুন এই কর্পোরেশনগুলি হল দমদম, বারাসত, শ্রীরামপুর, মহেশতলা এবং ব্যারাকপুর। আবার কাজের পরিধি বাড়ানো হচ্ছে হাওড়া, চন্দননগর, আসানসোল কর্পোরেশনের।


এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পরিকাঠামোগত এবং এলাকার উন্নয়নের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বালি পুরসভাকে এবার নিয়ে আসা হচ্ছে হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের আওতায়। আবার রানিগঞ্জ, কুলটি, জামুরিয়া আসছে আসানসোল কর্পোরেশনের অধীনে। উত্তরপাড়া, কোন্ননগর এবং রিষড়া পুরসভা এবার চন্দননগরের অধীনে থাকবে।


যে যে মিউনিসিপ্যালিটি নিয়ে নতুন কর্পোরেশন তৈরি হচ্ছে সেগুলি হল--


দমদম- কামারহাটি, খড়দহ, পানিহাটি, দমদম, উত্তর দমদম।

বারাসত- রাজারবাট-গোপালপুর, বারাসত, নিউ ব্যারাকপুর।

শ্রীরামপুর- বাঁশবেড়িয়া, চুঁচুড়া, ভদ্রেশ্বর, চাঁপদানি, বৈদ্যবাটি।

মহেশতলা- ভোজালি, মহেশতলা, আমতলা, সাতগাছিয়া।

ব্যারাকপুর- টিটাগড়, ব্যারাকপুর, ভাটপাড়া, গারুলিয়া, নৈহাটি, কাঁচড়াপাড়া, হালিশহর।


অন্য দিকে, এদিনের বৈঠকে চিকিৎসা ক্ষেত্রে শিক্ষক ও ডাক্তারদের অবসরের বয়সসীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার৷ শিক্ষক ও চিকিত্‍‌সকদের অপ্রতুলতার কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। চিকিৎসকদের অবসর নেওয়ার বয়স ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬২ বছর করে দেওয়া হয়েছে৷ একই সঙ্গে এদিন মেডিক্যাল শিক্ষকদের বয়স ৬২ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ বছর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ পাশাপাশি নতুন আরও ৮টি হাসপাতাল তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।


৩৭০ বাতিল মানে কাশ্মীরকে অস্বীকার, মত ওমর-মুফতির


গৌতম হোড় ও শিলাদিত্য সাহা


নয়াদিল্লি ও কলকাতা: সঙ্ঘ পরিবারের কাশ্মীর লাইন নিয়ে জন্মলগ্নেই বিতর্কে জড়াল নরেন্দ্র মোদীর সরকার৷ পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতির প্রচেষ্টার মধ্যেই জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠল বুধবার৷ আর তাতে ইন্ধন জোগালেন আরএসএস নেতারাও৷


মঙ্গলবারই ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা তথা জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা বলেছিলেন, 'হয় ৩৭০ ধারা থাকবে, না হলে জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের বাইরে চলে যাবে৷' বুধবার তার জবাবে আরএসএস নেতা রাম মাধব টুইট করে বলেন, 'জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অংশ থাকবে না? ওমর কি জম্মু ও কাশ্মীরকে বাবার জমিদারি ভাবছেন? ৩৭০ অনুচ্ছেদ থাকুক বা না থাকুক, জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের সঙ্গেই থাকবে৷' তবে আরএসএস-এর কড়া প্রতিক্রিয়া নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না ন্যাশনাল কনফারেন্স৷ এ দিন ওমরের মন্তব্য, 'আরএসএসকে কোনও জবাবদিহি করব না৷ আমার দায়বদ্ধতা জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের প্রতি৷'


একই সঙ্গে ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রশ্ন, ৩৭০ ধারা বিলোপ করে কি কেন্দ্রীয় সরকার ভারত রাষ্ট্রে কাশ্মীরের অন্তর্ভূক্তিকেও বাতিল করতে চাইছেন? কারণ ওই বিশেষ মর্যাদার ছায়াতেই কাশ্মীরের সঙ্গে ভারতের সংযুক্তিকরণ হয়েছিল৷ মেহবুবা মুফতির পিপল্স ডেমোক্র্যাটিক পার্টিরও (পিডিপি) দাবি, যাঁরা এই ধারা বিলোপের কথা ভাবছেন তাঁরা ইতিহাস বা ভারতের সংবিধান-কোনওটাই জানেন না৷ আরএসএস অবশ্য সংঘাতের পথেই হাঁটছে৷ ওমরকে একহাত নেওয়ার পাশাপাশি রাম মাধবের বক্তব্য, মঙ্গলবার পিএমও-র প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং দেশজোড়া আলোচনার ডাক দিয়ে ভুল করেননি৷ তিনি দলের দীর্ঘদিনের অবস্থানের কথা বলেছেন৷ অন্য দিকে সঙ্ঘের অন্যতম শীর্ষনেতা সুরেশ সোনির সঙ্গে এ দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বৈঠক হয়৷ বিজেপি সূত্রের খবর, সেখানে সঙ্ঘ নেতৃত্বও জানিয়েছেন, ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করা নিয়ে আলোচনা শুরুর রোডম্যাপ বানাক সরকার৷ সেইমতো দেশজুড়ে এই বিষয়ে বিতর্ক হোক৷ মুসলিম সংগঠন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, জম্মু ও কাশ্মীরের লোকেদের সঙ্গে আলোচনা হোক৷ সঙ্ঘের নেতা মাধব গোবিন্দ বৈদ্যেরও দাবি, এটা নিয়ে বিতর্ক হোক৷ তার পর যা সিদ্ধান্ত হবে, সেটা সকলের মেনে নেওয়া উচিত৷ প্রসঙ্গত, সঙ্ঘ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গেও বৈঠক করেছেন রাজনাথ৷


বিতর্ক অবশ্য শুরু হয়েই গিয়েছে৷ কারণ ন্যাশনাল কনফারেন্সের দাবি, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপের ক্ষমতা মোদীর সরকারের নেই৷ দলের অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক মুস্তাফা কামাল বলছেন, 'ভারতীয় স্বাধীনতা আইন (১৯৪৭) অনুযায়ী ১৯৪৭ সালের ২৬ অক্টোবর কাশ্মীরের মহারাজা হরি সিং ভারতের সঙ্গে যে সংযুক্তির চুক্তি করেন, তার শর্তগুলি নিয়েই তৈরি হয় ৩৭০ ধারা৷


ভারতের সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরের সাংবিধানিক সম্পর্ক ও একাত্মতা দাঁড়িয়ে রয়েছে ওই একটি ধারার উপরেই৷ এবং ভারতের সংসদ দলমত নির্বিশেষে এই বিশেষ মর্যাদায় সিলমোহর দিয়েছে৷ আজ সেটা বাতিলের কথা উঠলে তো সংযুক্তিকরণকেই অগ্রাহ্য করতে হয়৷ বিজেপি বা আরএসএস কি সেটা চায়?' কেন্দ্রকে মুস্তাফার হুঁশিয়ারি, 'আরও একবার দেশভাগের রাস্তায় যাবে না৷' কিন্ত্ত হঠাত্‍ এই বিতর্ক কেন? রাজনীতিকদের মত, বিজেপি একার ক্ষমতায় কেন্দ্রে সরকার গঠনে সফল হওয়ায় আরএসএস চাইছে তাদের দীর্ঘদিনের বকেয়া হিন্দুত্বের কর্মসূচি এ বার রূপায়িত হোক৷ তাতে তিনটি বিতর্কিত বিষয় রয়েছে৷ ৩৭০ ধারা, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি ও রামমন্দির নির্মাণ৷ আর সরকার গঠনের প্রথম দিনেই ৩৭০ ধারা বিলোপের প্রসঙ্গ ওঠায় একে সাম্প্রদায়িক শক্তির ষড়যন্ত্র হিসেবেই দেখছে জম্মু-কাশ্মীরের রাজনৈতিক দলগুলি৷


ওমর আবদুল্লার রাজনৈতিক সচিব তনবীরের বক্তব্য, 'আপনি আইনি ভাবে এই বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নিতে পারেন না৷ কারণ এটা সংবিধানের ধারা৷ স্বয়ং রাষ্ট্রপতিও যদি এই ধারা বিলোপের সুপারিশ করেন, তা হলেও সেই সুপারিশ খতিয়ে দেখার অধিকার একমাত্র জম্মু-কাশ্মীর সংবিধান সভার (কনস্টিটিউয়েন্ট অ্যাসেম্বলি) ছিল৷ ১৯৫৬ সালে জম্মু-কাশ্মীর সংবিধান সভা ভেঙে নতুন সংবিধান রচনা হয় এবং রাজ্য বিধানসভা গঠিত হয়৷ কাজেই এখন আর ৩৭০ ধারা বিলোপের অধিকার কারও নেই৷ তা ছাড়া সংবিধানের ১ নম্বর ধারায় ভারতের যে রাজ্যতালিকা আছে, সেখানে জম্মু-কাশ্মীরের নাম ঢুকেছে ৩৭০ ধারার ভিত্তিতেই৷ মূল ধারা বিলোপ হলে তার প্রভাব তো রাজ্য তালিকাতেও পড়বে!' পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি বলছেন, 'জিতেন্দ্র সিং রাজ্য ভাগের চেষ্টা করছেন৷ বিতর্ক এটা নিয়ে হওয়া উচিত, ৩৭০ ধারাকে কী করে আরও শক্তিশালী করা যায়৷' দলের মুখপাত্র নঈম আখতারেরও সাফ কথা, '৩৭০ ধারা নিয়ে সমঝোতা অসম্ভব৷ বিশেষ মর্যাদার শর্তেই ভারতীয় সংসদে যোগ দিয়েছিল কাশ্মীর৷' বিজেপি অবশ্য এ দিন পুরোপুরি চুপ৷


প্রসঙ্গত, ৩৭০ ধারায় প্রতিরক্ষা, বিদেশনীতি ও যোগাযোগের ক্ষেত্র ছাড়া ভারতীয় সংসদের অনুমোদিত কোনও আইন রাজ্য সরকারের অনুমোদন ছাড়া জম্মু-কাশ্মীরে চলে না৷ আর জন্মলগ্নে জনসঙ্ঘ ও পরে বিজেপি কাশ্মীরকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার বিপক্ষে ছিল৷ এই অবস্থায় মঙ্গলবারই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিমন্ত্রী ৩৭০ ধারা নিয়ে বিতর্ক চাওয়ায় কংগ্রেসের দাবি, এর পিছনে নিঃসন্দেহে সঙ্ঘ পরিবার আছে৷ কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভির মন্তব্য, 'বিজেপি জানে, ৩৭০ ধারা বিলোপ করা সম্ভব নয়৷ সংবিধানগত ভাবে কিংবা বাস্তব পরিস্থিতি অনুসারেই অসম্ভব৷ তবু ওঁরা এ সব কথা বলছেন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে৷ সামনে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা ও কিছুদিনের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা ভোটে ভালো ফল করা৷ সে জন্যই এই প্রশ্ন তুলে তারা একটা বিভাজন তৈরি করতে চায়৷'

http://eisamay.indiatimes.com/nation/dispute-arises-on-article-370/articleshow/35708723.cms

সন্তুষ্ট মমতার খাতায় ভালো নম্বর মন্ত্রীদের


mamata

পার্থসারথি সেনগুপ্ত


মমতার মার্কশিটে স্টার আর ফার্স্ট ডিভিশনের ছড়াছড়ি!


মন্ত্রীদের কাজের মূল্যায়নে উদার হাতেই 'মার্কস' দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বুধবার টাউন হলে প্রশাসনিক পর্যালোচনার পরীক্ষায় বেশির ভাগ মন্ত্রীই ভালো ভাবেই উতরে গিয়েছেন৷ খারাপ পরীক্ষার্থীর তকমা একাধিক মন্ত্রীর মিলেছে বটে, কিন্ত্ত সে সংখ্যাটা কম৷ তবে সব মন্ত্রীকেই কাজে আরও মনোযোগী হতে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা৷ বলেছেন, শুধু প্রশাসনিক স্তরে ভালো ভাবে কাজ করলেই হবে না, তার বার্তা রাজ্যবাসীর ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার মতো রাজনৈতিক দায়িত্বও মন্ত্রীদের পালন করা জরুরি৷ লোকসভা ভোটে শাসকদলের নজরকাড়া সাফল্যের রেশ থাকতে থাকতেই যে মুখ্যমন্ত্রী আসন্ন পুরনির্বাচন ও ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, তা এদিনের বৈঠকের সুর থেকে স্পষ্ট৷


বিভিন্ন দপ্তর পরিকল্পনা খাতে বাজেট বরাদ্দের কত শতাংশ নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সুষ্ঠু ভাবে খরচ করতে পেরেছে, এই প্রাথমিক শর্তটাই ছিল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের পরীক্ষায় উতরোনোর চাবিকাঠি৷ সেখানেই দুরন্ত স্কোর করেছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায় বা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো মন্ত্রীরা৷ যেমন, রাজীববাবু বরাদ্দের চেয়েও বেশি খরচ করেছেন, যে পরিসংখ্যানটা প্রায় ১০২ শতাংশ৷ রাজীববাবুর অবশ্য প্রতিক্রিয়া, 'মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনেই আমি সফল৷'


মমতার মার্কশিটে ভালো বা ফার্স্ট ডিভিশন পেয়েছে যে সব দপ্তর, সেগুলির খরচের হিসেবও একশো শতাংশের কাছাকাছি৷ আবাসনমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের বাজেট বরাদ্দ খরচ হয়েছে ৯০ শতাংশের উপর৷ সমবায় মন্ত্রী রচপাল সিংও প্রায় ৯০ শতাংশ টাকা খরচ করেছেন বলে খবর৷ সদ্যপ্রাক্তন হয়ে যাওয়া তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও এই বন্ধনীতে আছেন৷ তাঁর জায়গায় তথ্যপ্রযুক্তির ভার নেওয়া অমিত মিত্রকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, তথ্যপ্রযুক্তিতে বকেয়া প্রকল্পগুলি রূপায়ণ করতে৷


মার্কশিট খারাপ, এমন মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন বিচারবিভাগীয় মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য৷ তিনি তাঁর দপ্তরের বরাদ্দের ৭৩.১৫ শতাংশ খরচ করতে পেরেছেন৷ একই বন্ধনীতে রয়েছেন পরিবেশমন্ত্রী সুদর্শন ঘোষদস্তিদার, পরিসংখ্যান ও প্রকল্প রূপায়ণ মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য এবং কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস৷ ফেল করেছে তিনটি জেলাও৷ উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং সাবিত্রী-কৃষ্ণেন্দুর জেলা মালদহ৷


কেন তাঁদের ফল খারাপ হল? চন্দ্রিমাদেবীর ব্যাখ্যা, 'আমার দপ্তরে অনেক ক্ষেত্রেই টাকা খরচ করার ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত কিছু বিষয় মেনে এগোতে হয়৷ ধরা যাক, জেলা স্তরে আদালত ভবন বানাতে গেলে হাইকোর্টকে ছুঁইয়ে এগোতে হয়৷ মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য ঠিকই বলেছেন যে, উন্নয়ন খাতে আরও খরচ করতে হবে৷ এ ব্যাপারে আমরা পরিকল্পনামাফিক এগোব৷' একই যুক্তি বাকিদেরও৷ পরিবেশমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের বহু প্রকল্পই রূপায়িত হয় অন্য দপ্তরের মাধ্যমে৷ দ্বিতীয়ত, বিশ্বব্যাঙ্কের অর্থানুকূল্যে যে সব প্রকল্প আছে, তাতে টেন্ডার করার ক্ষেত্রে কড়া শর্ত মেনে চলতে হয়৷ প্রকল্পের স্বার্থে হয়তো কিছু বেশি টাকার টেন্ডার ডাকা হলেও, তা নাকচ হয়ে যায়৷ আবার নতুন করে টেন্ডারের পদ্ধতি শুরু হয়৷ স্বভাবতই, এসব ক্ষেত্রে আমাদের দপ্তরের তরফে ম্যাচিং গ্রান্ট ছাড়তে দেরি হয়ে যায়৷ দশ-বারো কোটি টাকা বাকি পড়ে থাকে৷' উজ্জ্বলবাবুর প্রতিক্রিয়া, 'আমরা তো ব্লক স্তরগুলোতেও আইটিআই গড়ার চেষ্টা করছি৷'


রবীন্দ্রনাথবাবুর যুক্তি, তাঁর যে দপ্তর, তাতে সরাসরি জনস্বার্থে বরাদ্দ অর্থ ব্যয় করার কোনও রাস্তা নেই৷ উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, 'আমি তো চাইলেই রাস্তা বানাতে পারব না৷ ফলে, পরিকল্পনা খাতে আমার দপ্তরের বরাদ্দ যে পাঁচ কোটি টাকা, তার অর্ধেকও খরচ হয়নি৷ এ বার ভোটের জন্যও কাজ ব্যাহত হয়েছে৷ তবে এ বার যে ছ' কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে, চলতি আর্থিক বছরে তার একশো শতাংশই ব্যয় করতে পারব৷'


ঘটনা হল, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যই প্রতিফলিত হয়েছে রবীন্দ্রনাথবাবুর এই যুক্তিতে৷ কারণ, প্রায় আড়াই ঘণ্টার মূল্যায়নী বৈঠকের সূচনাতেই মমতা জানান, লোকসভা ভোটপর্বে নির্বাচনী বিধির কারণে বিভিন্ন দপ্তর ও বিভাগের কাজ ব্যাহত হয়েছে৷ বেশ কয়েক মাস নষ্টও হয়েছে৷ সেটা সামাল দিতে মন্ত্রীদের সতর্ক হতেও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি৷


সফল মন্ত্রীরা কী বলছেন? সুব্রতবাবু এখনই ভবিষ্যতের দিশা নিয়ে ভাবছেন৷ তিনি বলেন, 'অনেক কাজই হয়েছে৷ এ বার জল সরবরাহের উপর আরও নজর দিতে হবে৷ মুখ্যমন্ত্রীও এটা বলেছেন৷ আবার ১০০ দিনের কাজেও আমাদের সাফল্য ধরে রাখতে হবে৷' সাধনবাবু সাফল্যের মন্ত্রগুপ্তি হিসেবে বলেছেন, 'লেগে থাকতে হয়৷ আমার দপ্তরে মানুষ আসে এসি মেশিন খারাপের অভিযোগ নিয়ে, আবার চিট ফান্ডের হাতে সর্বস্ব খুইয়েও৷ জনস্বার্থে সবার কথা ভাবতে হয়৷' শশীদেবীর মতে,'পরিশ্রম আর নিষ্ঠাই আমার মূলমন্ত্র৷ আর, যে কোন বিষয় একটু গভীরভাবে বোঝার চেষ্টা করা৷'

মুখ্যমন্ত্রী এদিন বৈঠকের পর বলেন, 'আমরা প্রশাসনিক স্তরে বিডিও-এসপিদের নিয়ে মোট ৫৪টা বৈঠক করেছি৷ আজকের বৈঠক অত্যন্ত ইতিবাচক ও গঠনমূলক হয়েছে৷ এ বার জেলাস্তরে বৈঠকের সূচনা হিসেবে ২ জুন উত্তরকন্যায় দার্জিলিং-জলপাইগুড়ি-কোচবিহার নিয়ে বৈঠক হবে৷ পুলিশকর্তাদের নিয়েও আলাদা বৈঠকে বসব৷ সমস্যা হল, প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে ২০ ডিসেম্বর বৈঠকের পর বেশ কয়েকটা মাস চলে গেল৷ কোন দপ্তরের কাজের ক্ষেত্রে কোথায় কী অসুবিধা বা কমিউনিকেশন গ্যাপ হচ্ছে, তা নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা হয়েছে৷ আমাদের অনেক কাজ ভালোই হচ্ছে৷ যেমন, ১০০ দিনের কাজে বাংলা প্রথম হয়েছে৷ এই সব ভালো কাজের বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে৷'

http://eisamay.indiatimes.com/state/Mamata-happy-with-the-jobs-that-her-ministers-did-in-1-year/articleshow/35688943.cms


পর্যটনে ব্রাত্য, শিক্ষায় পার্থ, দুই মন্ত্রী দপ্তরহীন


duo

এই সময়: মন্ত্রিসভায় রদবদল ঘটিয়ে একই সঙ্গে সরকার ও দলকে ঝাঁকুনি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মন্ত্রীদের কাজের মূল্যায়ন করতে আজ বুধবার টাউন হলে বৈঠক ডেকেছেন তিনি৷ তার ২৪ ঘণ্টা আগে মঙ্গলবার দুপু্রেই বেশ কিছু পরিবর্তন করলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল শিক্ষামন্ত্রী পরিবর্তন৷ ব্রাত্য বসুকে সরিয়ে শিক্ষা দপ্তরের ভার দেওয়া হল তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে৷ ব্রাত্যকে দেওয়া হল পর্যটন দপ্তর, যা শিক্ষার তুলনায় কম গুরুত্বের৷ এই রদবদলেই ডানা ছাঁটা গেল তিন মন্ত্রীর৷ পর্যটন কেড়ে নিয়ে মালদহের কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরিকে দেওয়া হল অনেক কম গুরুত্বের দপ্তর খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ৷


তবে সবচেয়ে গুরুত্বহীন করে দেওয়া হল মালদহ ও মুর্শিদাবাদের দুই মন্ত্রীকে৷ সাবিত্রী মিত্র ও সুব্রত সাহাকে মন্ত্রিসভায় রাখা হয়েছে বটে, কিন্ত্ত তাঁরা আপাতত দপ্তরবিহীন৷ আজ মুখ্যমন্ত্রীর পর্যালোচনা বৈঠকে অবশ্য তাঁরা থাকবেন৷ সচিব ও উচ্চপদস্থ অফিসারদেরও ডাকা হয়েছে এই বৈঠকে৷


তৃণমূল সরকারের তিনবছরের কার্যকালে মন্ত্রিসভায় রদবদল আগেও হয়েছে৷ তিনটি বড় রদবদলে দুবারই দপ্তর বদল হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের৷ আগেরবার গুরুত্বপূর্ণ শিল্প দপ্তর হাতছাড়া হয়েছে তাঁর৷ এবার তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প দপ্তর হাতছাড়া হলেও তিনি পেলেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দপ্তরের ভার৷ মুখ্যমন্ত্রী তথ্যপ্রযুক্তি দিয়েছেন তাঁর অত্যন্ত আস্থাভাজন অমিত মিত্রকে৷ অর্থ, আবগারি, শিল্প, এবং এবার তথ্যপ্রযুক্তির দায়িত্ব পেয়ে অমিতবাবু যে মন্ত্রিসভায় কার্যত দু'নম্বর হয়ে গেলেন তাতে কোনও সন্দেহ নেই৷ নরেন্দ্র মোদীর শপথ অনুষ্ঠানে সরকারের তরফে তাঁকে পাঠিয়েও অমিতবাবুর রাজনৈতিক ওজন বৃদ্ধির বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷


রদবদলের সম্ভাবনার কথা ক'দিন ধরেই তৃণমূল শিবিরের আলোচনায় ছিল৷ সাবিত্রী, সুব্রত ও কৃষ্ণেন্দুর যে ডানা ছাঁটা হবে, এমনকি মলয় ঘটকের মতো তাঁদের মন্ত্রিত্বও কেড়ে নেওয়া হতে পারে এমন কথাও শোনা যাচ্ছিল৷ শেষপর্যন্ত জেলা রাজনীতির ভারসাম্য রক্ষার স্বার্থেই তাঁদের মন্ত্রিত্বে রেখে দেওয়া হল৷


তৃণমূল সূত্রে বলা হচ্ছে, এই রদবদলের মধ্যে দিয়ে মমতা এক ঢিলে অনেক পাখি মারার চেষ্টা করেছেন৷ প্রথমত, ৩ বছরে বেশ কয়েকবার রদবদল ঘটিয়ে মমতা বুঝিয়ে দিচ্ছেন বামফ্রন্ট জমানার মতো তাঁর মন্ত্রিসভায় চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত বলে কিছু নেই৷ কেউ কোনও পদে বা দপ্তরে অপরিহার্য নন৷ দায়িত্ব ও দপ্তর বদলের ফলে কাজে গতি আসে, এই কর্পোরেট ভাবনায় বিশ্বাসী মমতা৷ তবে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল মন্ত্রীদের এই বার্তাও দেওয়া যে, দলকে উপেক্ষা করলে তিনি বরদাস্ত করবেন না৷


ব্রাত্য বসু অবশ্য প্রকাশ্যে বলেছেন তিনি নিজেই কিছুটা চাপমুক্ত হতে চেয়েছিলেন৷ কয়েকদিন আগে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পর্বতারোহী ছন্দা গায়েনের বাড়ি যাওয়ার পথে সে কথা তিনি দলনেত্রীকে জানান৷ ব্রাত্যবাবুর বক্তব্য, 'এটা রুটিন বদলি৷ মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে চেয়েছিলেন শিক্ষায় সেভাবেই সংস্কার করা হয়েছে৷ যা ভাল হয়েছে তার সব কৃতিত্ব মুখ্যমন্ত্রীর৷ আর যেটা পারিনি তার দায় আমার৷ পর্যটন দপ্তর পেয়ে আমি খুশি৷ বুধবারই আমি নতুন দায়িত্ব নেব৷' কৃষ্ণেন্দু জানিয়েছেন, 'নব মহাকরণে নিজের দপ্তরে বসেই আমি রাজভবন থেকে চিঠি পেয়েছি৷ আমি মনে করি না এটা কোনও শাস্তি৷ যে দপ্তরেই থাকি মন দিয়ে কাজ করি৷ পর্যটন দপ্তরেও করেছি৷ এখন মুখ্যমন্ত্রী আমাকে খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ দপ্তরের দায়িত্ব দিয়েছেন৷ সে দায়িত্ব পালন করব৷'


বহরমপুরে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক চলাকালীন রদবদলের খবর পান সুব্রত সাহা৷ তাঁর সাফ কথা, 'দল ও সরকারের স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে কাজ করার নির্দেশ দেবেন সেইভাবেই কাজ করব৷' এর বেশি একটি শব্দও ব্যয় করতে চাননি সুব্রত৷ মালদহের অপর মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র এদিন কলকাতায় ছিলেন না৷ তিনি নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে ভূতনির চরের কাছে একটি সেতু নির্মাণ সংক্রান্ত কাজে ব্যস্ত ছিলেন৷ সাবিত্রীর কথায়, 'দপ্তর নিয়ে নেওয়ার খবর মুখ্যমন্ত্রী বা দলীয় নেতৃত্ব আমায় জানাননি৷ তাই এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে পারব না৷ তবে এটুকু বলতে পারি, দল যে দায়িত্ব দেবে তাই পালন করব৷'


No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...