THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA INDIA AGAINST ITS OWN INDIGENOUS PEOPLES

PalahBiswas On Unique Identity No1.mpg

Tuesday, April 28, 2015

ধনী দেশে বড় ভূমিকম্প হলেও মানুষ বেঁচে যায়, আর গরিব দেশের ছোট ভূমিকম্পও মানুষকে রেহাই দেয় না।

ভূমিকম্প, শুনেছি, অনেকে নাকি টের পায় না। ভূমিকম্প হয়েছে, আর আমি টের পাইনি, এমন ঘটেনি। টের পাওয়াটা একেক জনের বেলায় একেক রকম। কিছু লোক আছে আবার বেশি টের পায়। ভূমিকম্প না হলেও বলে, ভূমিকম্প। ছোটবেলায় আমার বাবা শিখিয়েছিলেন, ভূমিকম্প হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘর থেকে বেরিয়ে যাবে, খোলা জায়গায় গিয়ে দাঁড়াবে, ভূমিকম্প মানুষকে মারে না, মারে ঘরবাড়ির ধ্বস।
বাবার কথাটা প্রতিবারই স্মরণ করি, যখন ভূমিকম্প হয়। কিন্তু দৌড়ে ঘর থেকে একবারও আমার বেরোনো হয় না। ঘরেই হাঁটাহাঁটি করি আর ভাবি, শুধু শুধু দৌড়োদৌড়ির কী দরকার, এই তো কম্পন থেমে যাচ্ছে বা যাবে। ভূমিকম্প কোনও ক্ষতি করতে পারবে না, এমনভাবে দালানকোঠা বানানো হচ্ছে আজকাল। অবশ্য বানানো হচ্ছে ধনী দেশে। গরিব দেশ ওসব নিয়ে মাথা ঘামায় না। যেন তেন ভাবে মাথা গোঁজার ঠাঁই হলেই হলো। সে কারণে ধনী দেশে বড় ভূমিকম্প হলেও মানুষ বেঁচে যায়, আর গরিব দেশের ছোট ভূমিকম্পও মানুষকে রেহাই দেয় না। ঠিক এভাবেই বন্যা হলে গরিব দেশে লোক মরে, ধনী দেশ দিব্যি সামলে নেয়। অর্থনৈতিক দারিদ্রই যে সব কিছুর মূলে, তা নয়। চিন্তার দারিদ্র, সততার দারিদ্রও বড় কারণ। গরিব দেশের মানুষকে গরিব-ধনী কোনও দেশই মূল্যবান বলে মনে করে না! মৃত্যু নিয়ে যারা রাজনীতি করে, তারা মৃত্যু রোধ করতে চায় না।

নাহ, এরপর ভূমিকম্প হলে ঠিক ঠিক ঘর থেকে বেরিয়ে যাবো। খোলা জায়গায় গিয়ে দাঁড়াবো। বাবা যেভাবে শিখিয়েছিলেন। আলসেমি করবো না। অপেক্ষা করবো না। জীবন তো একটাই। জীবনের চেয়ে মূল্যবান আর কী আছে। একে হেলায় হারানোর কোনও মানে নেই। যদি খোলা জায়গায় দাঁড়াবার পর দেখি ভূমিকম্প থেমে গেছে! যাক না। আক্ষেপ করার কী আছে! আমাদের কি খুব বেশি খোলা জায়গায় দাঁড়িয়ে খোলা আকাশ দেখার সুযোগ হয়? মাঝে মাঝে ভূমিকম্প এসে যদি সেই সুযোগটা করে দেয়, মন্দ কী!
( ছোটবেলায় আমরা একতলা বাড়িতে থেকেছি। দরজাগুলো হাট করে খোলাই থাকতো বেশির ভাগ সময়। দৌড়ে বাইরে বেরোতে সময় লাগতো না। আজকাল উঁচু উঁচু দালানে বাস করে মানুষ। লিফট ব্যবহার করা যাবে না। হেঁটে হেঁটে তেইশ তলা বা বারো তলা থেকে নামা চাট্টিখানি কথা নয়। এখন তো বিশেষজ্ঞরা বলেন, ঘরেই মুখ মাথা ঢেকে টেবিলের তলায় চলে যাও, কাচের জিনিসপত্তর থেকে দূরে থাকো। কী জানি, টেবিলের তলায় চলে গেলে কতটুকু শেষ পর্যন্ত প্রাণ রক্ষা হয়! এ অনেকটা উড়োজাহাজের আশ্বাসের মতো, দুর্ঘটনা ঘটলে অক্সিজেন মাস্ক পরো, লাইফ জ্যাকেট পরে লাফ দাও, ওই করে ক'জন লোক আসলে বাঁচে! টেবিলের তলা একা কি কাউকে বাঁচায়, তলায় যেতে হয় মাথায় হেলমেট পরে যাওয়াই হয়তো ভালো, কষ্টে সৃষ্টে মাথাটা বাঁচাতে পারলে, আর খুব অতলে তলিয়ে না গেলে বাঁচার সম্ভাবনাটা হয়তো কিছুটা থাকে। মানুষের জীবন আরশোলাদের জীবনের চেয়েও নড়বড়ে। ভুমিকম্প টুমিকম্প কোনও আরশোলাকে এতটুকু কাঁপাতে পারে না। )

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...