THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA INDIA AGAINST ITS OWN INDIGENOUS PEOPLES

PalahBiswas On Unique Identity No1.mpg

Sunday, July 28, 2013

নীরবতার সংলাপ

পারাপার

'তবুও মানুষ অন্ধ দুর্দশার থেকে স্নিগ্ধ আঁধারের দিকে, অন্ধকার হতে তার নবীন নগরী গ্রাম উৎসবের পানে, যে অনবনমনে চলেছে আজও; তার হৃদয়ের ভুলের পাপের উৎস অতিক্রম করে চেতনার বলয়ের গুণ রয়ে গেছে বলে মনে হয়' – জীবনানন্দ দাশ


Post navigation

নীরবতার সংলাপ

চমকে যাওয়ার মতোই তথ্য সব। মরিচঝাঁপি। নৈঃশব্দের অন্তরালে গণহত্যার এক কালো ইতিহাস – লিখেছিলেন জগদীশ মন্ডল। তৎকালীন দক্ষিণবঙ্গের এক সাংসদ শক্তি সরকারের সঙ্গে বারবার গিয়েছিলেন কাদামাটি আর সমুদ্রের নোনা জলের গন্ধ-মেশা হোগলা বনের দ্বীপে। তার পর সব চুপচাপ। বহু বছর কেটে গেল। ২০০৪-এ প্রকাশিত অমিতাভ ঘোষের বই 'দ্য হাঙরি টাইড' মরিচঝাঁপি দ্বীপে অল্পকাল-স্থায়ী কিছু ছিন্নমূল মানুষের কথা বৃহত্তর জনসমাজের কাছে নিয়ে এলো। সম্প্রতি দ্বিতীয়বার বইটি পড়বার সময় অনুভব করলাম স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণা মানুষের জান্তব জীবনযন্ত্রণারও অধিক। এমনি একটা সময়ে "মরিচঝাঁপি ছিন্নদেশ, ছিন্ন ইতিহাস" পড়তে পড়তে মনে হল এ-সবই তো জানা ঘটনা, তিন দশক আগে আমাদের প্রজন্মের মানুষ জনকে যা সমূলে নাড়িয়ে দিয়েছিল। আবার নতুন মাত্রায় দেখা দিল মরিচঝাঁপি। বারবার ঘুরে আসে কতগুলো নাম। সঙ্গে আসে আত্মবিস্মৃতির গ্লানি। আমাদের বঙ্গভূমির বুদ্ধিজীবি মানুষ হয়তো এমন করেই বেঁচে আছেন। নিজের কাছে লুকিয়েও হয়তো বা। সুখে সমৃদ্ধিতে ভালই তো আছেন। কী দরকার রাজশক্তির বিরুদ্ধাচরণ করে। শিরদাঁড়া একটু সামনে নুইয়ে দিলেই যখন রাজভোগের কিঞ্চিৎ উচ্ছিষ্ট হাতে এসে যায়।


মরিচঝাঁপির অলস শান্ত দ্বীপে গোলাগুলি চলেছিল আজ থেকে প্রায় তিরিশ বছর পনেরো মাস আগে, নদীপারের কুমিরমারি অঞ্চলে। মরিচঝাঁপি থেকে কিছু খাদ্য আর পানীয় জল সংগ্রহ করতে এসেছিলেন নতুন বসতির উদ্বাস্তুরা। প্রস্তুত ছিল জ্যোতিবাবুর স্বরাষ্ট্রসচিব রথীন সেনগুপ্ত সাহেবের পুলিশবাহিনী। অন্তরালে অখন্ড ২৪ পরগণার পুলিশ সুপার অমিয় সামন্ত। গুলি চলল। বাঁচার স্বপ্ন শেষ হল না। মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন বেশ কিছু মানুষ। কেউ বললেন অনেক। অমিয় সামন্ত বলেন মাত্র দুজন। শরীরে গুলি নিয়েও বেঁচে থাকলেন দু'একজন। হয়তো এখনও তাঁদের সন্ধান পাওয়া যায়। দমদম এলাকায় মরিচঝাঁপি নামের আস্ত একটি কলোনিই গড়ে ওঠে পরবর্তী সময়ে। তবে সেই মরিচঝাঁপি পর্বের যাঁরা বেঁচে আছেন, তাঁরা আর মুখ খুলতে সাহস পান না। এসব তথ্য তুষার ভট্টাচার্যের বহুকষ্টে নির্মিত তথ্যচিত্রের অংশমাত্র। এই সেদিনও মরিচঝাঁপির প্রথম প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা বলত তারা কিছু জানে না। অবশ্যই ভয়ে, অনুমান করা যায়। তুষারবাবুর ছবি দেখে আর ওঁর সঙ্গে ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় বিষাদগ্রস্ত হয়েছিলাম। সেই গভীর বিষণ্ণতা শুধুই ওঁর তথ্যচিত্রের বিষয়বস্তু-উদ্ভূত নয়। এ বিষণ্ণতা সর্বজনীন মানবতার 'এভরিম্যানস ডেথ ডিমিনিশেস মি' – প্রত্যেক মানুষের মৃত্যুই আমাকে ক্ষয় করে। ঠিক তখনই হাতে এল এই বই; খসড়া আকারে। এক মানবতাহীন বামপন্থী সরকারের কলঙ্কিত ইতিহাসের খোঁজ। গাঙচিল-এর প্রকাশনা; সম্পাদনা করেছেন মধুময় পাল। প্রকাশের আলোয় ওই কালের এক অসাধারণ দলিল। মরিচঝাঁপি ছিন্ন দেশ, ছিন্ন ইতিহাস

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

http://parapar.org/tag/%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A6%9D%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%AA%E0%A6%BF/page/2/

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...