THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA INDIA AGAINST ITS OWN INDIGENOUS PEOPLES

PalahBiswas On Unique Identity No1.mpg

Friday, August 24, 2012

Fwd: [গুরুচন্ডা৯ guruchandali] একটি প্রায় বিস্মৃত গণহত্যার কথা :: বিপ্লব রহমান



---------- Forwarded message ----------
From: Guruchandali Kolikaal <notification+kr4marbae4mn@facebookmail.com>
Date: 2012/8/24
Subject: [গুরুচন্ডা৯ guruchandali] একটি প্রায় বিস্মৃত গণহত্যার কথা :: বিপ্লব রহমান
To: গুরুচন্ডা৯ guruchandali <guruchandali@groups.facebook.com>


একটি প্রায় বিস্মৃত গণহত্যার কথা :: বিপ্লব...
Guruchandali Kolikaal 7:34pm Aug 24
একটি প্রায় বিস্মৃত গণহত্যার কথা :: বিপ্লব রহমান
______________________________
__
[ন' সাঙ যেবার এই জাগান ছাড়ি/ ইদু আগং মুই জনমান ধরি/ এই জাগান রইয়েদে মর মনান জুড়ি…চাকমা গান…এই জায়গা ছেড়ে আমি যাবো না/ এখানেই জন্ম জন্মান্তর থেকে আমি আছি/ এই জায়গা আমার মন জুড়ে রয়েছে।…]

চাকমাদের সবচেয়ে বড় সামাজিক উৎসব বিঝু'র আমন্ত্রণে বিশাল দলবলসহ যাওয়া হয়েছে খাগড়াছড়ি। সেটি ১৯৯২ সালের ১১ এপ্রিলের কথা। পাহাড় তখন দারুণ অশান্ত, যুদ্ধ-বিক্ষুব্ধ। ঢাকা থেকে লক্কর-ঝক্কর বাস 'ডলফিন' পৌঁছেছে সেখানে বিকেল নাগাদ।

পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) ছেলেমেয়েরা গাদা ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেছেন অতিথিবর্গকে। দলনেতা আখতারুজ্জামান ইলিয়াস (প্রয়াত), অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, ব্যরিস্টার সারা হোসেন প্রমুখ। অতিথিদের আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে জেলা সার্কিট হাউজে। রাতে সেখানে পাত পড়েছে পোলাও-মাংস ইত্যাদির।
কিছু বুঝে ওঠার আগেই এমনি করে আহার-ব্যাঞ্জনে মত্ত হওয়া এই লেখক কাম সাংবাদিকের রীতি বিরুদ্ধ। তাই সিগারেট বিরতিতে স্থানটি 'রেকি' করতে বের হওয়া গেলো। সার্কিট হাউজের বারান্দায় দেখা মেলে একজন হত-বিহ্বল পাহাড়ি লোককে এক গামলা মুড়ি খেতে। তার কোলে একরত্তি একটি দুধের শিশু। লোকটিকে ক্লান্তি আর অজানা এক অনুভূতি তাকে ঘিরে রেখেছে বলে মনে হয়। সে যত না মুড়ি খায়, তার চেয়েও বেশী পানি খায় ঢক ঢক করে। কোলের শিশুটিকেও পানি খাওয়ায় কয়েকবার।
তার পরিচর্যা করছিলেন যে সব ছেলে-মেয়েরা তাদের কাছ থেকে জানা গেলো, এই ভাগ্যহতের বেদনা দায়ক ইতিকথা। আগের দিন ১০ এপ্রিল জেলার পানছড়ির দুর্গম পাহাড়ি জনপদ লোগাং-এ ঘটে গেছে দুঃখজনক এক গণহত্যা। তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেনা বাহিনী ও বাঙালি সেটেলাররা পুরো গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে। মেশিন গানের গুলি আর সেটেলারদের দা'য়ের কোপে কতজন পাহাড়ি প্রাণ হারিয়েছে, কেউ সঠিক কিছু বলতে পারছে না। এই লোকটি হচ্ছেন লোগাং গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শি; সেখান থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া সৌভাগ্যবানদের একজন।
দ্রুত নোট প্যাড বের করে টুকে নেওয়া হয় নাম বিস্তৃত পাহাড়ির চাকমা ভাষার ভাষ্য। এনালগ ইয়াশিকা ক্যামেরায় তোলা হয় তার দু-একটি সাদাকালো ছবি।
তিনি এই লেখককে জানান, তাদের গ্রামে আক্রমণ হতেই শিশুটিকে কোলে করে দুর্গম পাহাড়-জঙ্গল ভেঙে প্রায় ৩০ কিলিমিটার পথ পাড়ি দিয়ে তিনি প্রথমে পৌঁছান জেলা সদরে। পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ নেতারা সার্কিট হাউজে আছেন — এই খবর শুনে তিনি আসেন সেখানে। অনর্গল চাকমা ভাষায় লোকটি শুধু একটা কথাই বলেন, বাবারা আমাকে একটু আশ্রয় দাও! চিদরেরা (সেনা বাহিনী) আমার কথা জানতে পারলে হয়তো আমাকেও মেরে ফেলবে!
ছাত্র নেতারা নিজেদের মধ্যে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেন, পিসিপি'র কাছে ভাষ্য দেওয়ার ‌'অপরাধে' লোকটিকে নিরাপত্তা বাহিনী হয়তো ছেড়ে কথা বলবে না। তাই দ্রুত তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কোনো একটি নিরাপদ আশ্রয়ে।
পিসিপি নেতারা জানান, এরই মধ্যে সেনা বাহিনী লোগাং গণহত্যার দায় গেরিলা গ্রুপ শান্তি বাহিনীর ওপর চাপিয়েছে। সেদিনই রাতে স্থানীয় সংবাদদাতার বরাত দিয়ে বিবিসি'র রেডিও খবরে প্রচার করা হয়, লোগাং-এ শান্তিবাহিনীর হামলায় নাকি ১৩ জন নিহত হয়েছে!
এই লেখকের রাত কাটে বর্ষিয়ান পাহাড়ি নেতা অনন্ত মাস্টার তথা রামগড়ের স্কুল শিক্ষক অনন্ত বিহারী খীসার (অখন্ড পিসিপি'র সাবেক নেতা, বর্তমানে শান্তিচুক্তি বিরোধী ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট– ইউপিডিএফ'র সভাপতি প্রসিত বিকাশ খীসার বাবা) নারানখাইয়ার বাসায়।
পরদিন ১২ এপ্রিল ছিলো ফুল বিঝু। খুব ভোরে নাস্তার টেবিলে অনন্ত মাস্টার সুন্দর করে বুঝিয়ে বলছিলেন চাকমাদের চৈত্র সংক্রান্তির তিন দিনের বিঝু উৎসব–ফুল বিঝু, মূল বিঝু ও গইজ্যাপইজ্যা বিঝুর কথা।
এমন সময় কোথা থেকে যেনো একদল পাহাড়ি শিশু-কিশোর কিচির-মিচির করতে করতে হাজির হয় সেখানে। ঝুপ ঝুপ করে তারা অনন্ত মাস্টারকে ফুল বিঝুর প্রণাম করে। 'বাঙাল' অতিথির দিকে ওরা ফিরেও তাকায় না। …
সার্কিট হাউজে এসে শোনা গেলো, ইলিয়াস ভাই, আনু ভাই, সারা আপা — সকলে পিসিপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ওই সকালেই লোগাং যাওয়া হবে। সরেজমিনে দেখা হবে সেখানে আসলে কী ঘটেছে। দলে যোগ দেন পাহাড়ি গজদন্ত-কারুশিল্পী বিজয় কেতন চাকমা।
কয়েকটি ভাঙাচোরা জিপে (স্থানীয় নাম– চাঁদের গাড়ি) করে রওনা দেওয়া হয় গণহত্যাস্থল লোগাঙের উদ্দেশ্যে।
______
এরপর বাকীটুকু পড়ুন এখানে >> http://www.guruchandali.com/default/2012/08/14/1344963000000.html#.UDeFMMFlTxo

View Post on Facebook · Edit Email Settings · Reply to this email to add a comment.

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...