THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA INDIA AGAINST ITS OWN INDIGENOUS PEOPLES

PalahBiswas On Unique Identity No1.mpg

Sunday, July 28, 2013

গণধর্ষণের পর খুন, আদিবাসী মহিলার লাশ লোপাটের চেষ্টা

গণধর্ষণের পর খুন, আদিবাসী মহিলার লাশ লোপাটের চেষ্টা

গণধর্ষণের পর খুন, আদিবাসী মহিলার লাশ লোপাটের চেষ্টা
এই সময়, আলিপুরদুয়ার: শ্রমিক মহল্লা ফাঁকা করে প্রায় সবাই চলে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায়৷ বাড়ি ফাঁকা পেয়ে সে সময় এক আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণের পর খুন করেন দুই প্রতিবেশী৷ বার বার ধর্ষণের পর খুন করে চা-বাগানের ঝোপে লুকিয়ে রেখে পালিয়ে গিয়েছিলেন ওই দু'জন৷ তারপর চার দিন ওই মহিলার কোনও খোঁজ ছিল না৷ ডুয়ার্সের এথেলবাড়ি চা-বাগানের শ্রমিকরা শনিবার কাজে না গিয়ে তাঁর খোঁজে দল বেঁধে তল্লাশি শুরু করেন৷ শেষে ঝোপের মধ্যে মহিলার বিবস্ত্র পচাগলা লাশ খুঁজে পাওয়ায়তাঁদেরকাছেরহস্য পরিষ্কার হয়৷ কেননা, অভিযুক্ত ওই দু'জনকে গত মঙ্গলবার ওই মহিলার বাড়িতে ঢুকতে দেখেছিলেন শ্রমিক মহল্লার কেউ কেউ৷ 

তার পর থেকে অভিযুক্ত দু'জনকেও আর এলাকায় দেখতে না-পাওয়ায় সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের৷ খবর মেলে ওই চা-বাগান থেকে ১০ কিমি দুরে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে এ দিন সকালেই ওই দু'জনকে দেখেছেন কেউ কেউ৷ সঙ্গে সঙ্গে এথেলবাড়ির প্রায় ২৫০ চা-শ্রমিক ছুটে যান সেখানে৷ অভিযুক্তদের টেনে বার করে চলে গণধোলাই৷ পুলিশ খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে ওই দু'জনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়৷ শ্রমিকরাও সবাই চলে যান ফালাকাটা থানায়৷ সেখানে ধৃতদের ফাঁসির দাবিতে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান তাঁরা৷ পুলিশ জানিয়েছে , জেরায় ওই দু'জন নিজেদের দোষ কবুল করেছেন৷ তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ ধৃত রমেশ মোচারী ও ক্ষীরেন রায় ওই চা-বাগানেরই বাসিন্দা৷ মহিলার মৃত্যু সুনিশ্চিত করার জন্য গলায় গামছা পেঁচিয়ে দু'প্রান্ত দু'জনে টেনে ধরে রাখেন বেশ কিছুক্ষণ৷ মৃত ৩২ বছরের ওই গৃহবধূর স্বামী পেশায় গাড়িচালক৷ এলাকার বাসিন্দাদের ধূপগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় গাড়ি চালিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনিই৷ 

সেই সুযোগে তাঁর বাড়িতে গিয়ে অভিযুক্ত দু'জন মহিলার তিন মেয়ে ও এক ছেলের হাতে চকোলেট গুঁজে দিয়ে খেলতে পাঠিয়ে দেন৷ পরে আদিবাসী মহিলাকে মদ খাইয়ে নিয়ে চলে যান কাছেই একটি নদীর পাশে৷ পুলিশকে ওই বিবরণ দিয়ে দু'জনই জানিয়েছেন , সেখানেই বারবার ধর্ষণ করেন তাঁরা৷ তার পর শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলে রেখে তাঁরা গা -ঢাকা দেন৷ ওই মহিলার প্রতিবেশী রামপ্রসাদ লাকড়া বলেন , 'শরীর খারাপ থাকায় আমিই সে দিন একমাত্র বাড়িতে ছিলাম৷ রমেশ ও ক্ষীরেনকে আমি ওই মহিলার বাড়িতে ঢুকতে দেখেছিলাম বটে৷ কিন্ত্ত ওই বাড়িতে ওঁরা প্রায়ই যেতেন বলে কিছু মনে করিনি৷ এখন সব বুঝতে পারছি৷ ' 

মৃতের স্বামী বলেন , 'ওঁরা প্রায়ই আমাদের বাড়িতে আসতেন৷ কিন্ত্ত ওঁরা যে আমার এত বড় সর্বনাশ করবেন , তা কল্পনাতেও ছিল না৷ ' তিনিই পুলিশের কাছে তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মাঘারিয়া জানিয়েছেন , 'সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে পুলিশের কাজে আরও সুবিধা হবে৷ '৷

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...