THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA INDIA AGAINST ITS OWN INDIGENOUS PEOPLES

PalahBiswas On Unique Identity No1.mpg

Saturday, July 27, 2013

নয়া পুরনিগম গড়ার সিদ্ধান্তে সিলমোহর

নয়া পুরনিগম গড়ার সিদ্ধান্তে সিলমোহর
এই সময়: রাজ্যে আরও একটি পুর নিগম তৈরি হচ্ছে৷ বিধাননগর, দক্ষিণ দমদম, রাজারহাট-গোপালপুর ও নিউটাউন-কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটিকে নিয়ে গঠিত হবে এই নতুন পুর নিগম৷ এর আওতায় আসবে বিধাননগর সংলগ্ন কয়েকটি পঞ্চায়েত এলাকাও৷ আগামী বছর এই পুরসভাগুলির ভোটের আগেই নিগম গঠন হয়ে যাবে বলে শুক্রবার জানিয়েছেন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম৷ এই সংক্রান্ত একটি বিল আগামী মাসে বিধানসভার অধিবেশনে পেশ হওয়ার কথা৷ 

রাজ্যে এখন ৬টি পুরনিগম রয়েছে কলকাতা, হাওড়া, চন্দননগর, আসানসোল, দুর্গাপুর ও শিলিগুড়ি৷ জনসংখ্যা, এলাকার সামাজিক অবস্থান ও নাগরিক জীবন বিচার করে পুরনিগম বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে বাম আমল থেকেই আলোচনা চলছে৷ শেষ পর্যন্ত তৃণমূল সরকার এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল৷ এক্ষেত্রে কলকাতা শহর লাগোয়া সল্টলেক, লেকটাউন, বাগুইআটি, ভিআইপি রোড ও বিমানবন্দর সংলগ্ন অঞ্চল এবং নিউটাউনের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকাকে বেছে নেওয়া হয়েছে৷ কারণ এগুলি পুরসভার অন্তর্গত হলেও, এইসব এলাকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে কলকাতার প্রায় কোনও ফারাক নেই৷ এখানে বাসিন্দাদের আর্থ সামাজিক অবস্থা, লাইফ স্টাইল-সবই মহানগরের বাসিন্দাদের মতো৷ অথচ বহু পরিষেবা থেকেই তারা বঞ্চিত৷ বিশেষত পানীয় জল, রাস্তা, পরিবহণ ব্যবস্থার বড় সমস্যা রয়েছে৷ বর্ষায় জল জমা বা নিকাশি সমস্যাও রয়েছে৷ পুরসভাগুলি আর্থিক কারণে এলাকার সব উন্নয়ন করতে পারে না৷ ফলে নানা ভাবে ভুগতে হয় সারা বছর৷ এই জট কাটাতেই হাওড়া, শিলিগুড়ি মতো শহরে কর্পোরেশন করা হয়েছে৷ একই কারণে এবার সল্টলেক, লেকটাউনকেও আনা হচ্ছে পুর নিগমের আওতায়৷ জনসংখ্যার ভিত্তিতে এই তিনটি পুরসভা ও নিউটাউন বড় শহরের সমান৷ বিধাননগরের জনসংখ্যা সওয়া ২ লক্ষ, দক্ষিণ দমদমে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার, রাজারহাট-গোপালপুরে ৪ লক্ষ২ হাজার৷ নিউটাউনের বাসিন্দা সাড়ে ১৪ হাজার৷ আর সেখানে কাজের সুবাদে যাতায়াত করেন ৪৯ হাজার মানুষ৷ 

সরকারের এই সিদ্ধান্তে সংশ্লিষ্ট পুরসভাগুলি কী ভাবছে? বিধাননগর পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী এদিন বলেন, 'কর্পোরেশন হলে অর্থ বরাদ্দ বাড়বে৷ ফলে সল্টলেকবাসীরা আরও বেশি পরিষেবা পাবেন৷ তৃণমূলেরই আর এক জনপ্রতিনিধি, দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রধান অঞ্জনা রক্ষিত অবশ্য সরকারের এই উদ্যোগের বিরোধিতা করেছেন৷ তাঁর বক্তব্য, 'কর্পোরেশন হলে এলাকার অসুবিধা হবে৷ কারণ গরিবরা কোনও পরিষেবা পাবে না৷ পুরসভা যে ভাবে কাজ করে পুরনিগম তা পারবে না৷' রাজারহাট-গোপালপুরের পুর প্রধান আবার অন্য দাবি করেছেন৷ তাঁর কথায়, 'এই কর্পোরেশন হলে সল্টলেক বাড়তি সুবিধা পাবে৷ তাই আমরা রাজারহাট ও নিউটাউন নিয়ে আলাদা কর্পোরেশন চাইছি৷ নিউটাউন-কলকাতা ডেভলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন অবশ্য কোনও মন্তব্য করেননি৷ 

কী বলছে সরকার? পুরমন্ত্রী জানিয়েছেন, পুরনিগম গঠিত হলে আর্থিক সমস্যা অনেকটা মিটে যাবে৷ কারণ সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের মতো সংস্থার পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা পাওয়া যায়৷ পুরনিগমের জন্য রাজ্য সরকারও বাড়তি বরাদ্দ অনুমোদন করে৷ যেগুলি পুরসভা পায় না৷ শুধু দমদম, লেকটাউন, নিউটাউন বা সল্টলেক নয়, সল্টলেক সংলগ্ন কয়েকটি পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার ধরনও অনেক উন্নত মানের৷ পুরমন্ত্রীর কথায়, 'ওইসব অঞ্চল নামেই পঞ্চায়েত৷ কিন্ত্ত ওখানে এখন আর চাষ হয় না৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কলকাতায় শহরবাসীর লাইফ স্টাইলে আর ফারাক নেই৷' তিনি জানিয়েছেন, আগামী বছর পুরভোট হবে৷ তখন ওই এলাকাগুলিতে কর্পোরেশন হিসাবেই নির্বাচন হবে৷ 

বিধাননগরকে কর্পোরেশনের মর্যাদা দেওয়া হবে একথা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়৷ প্রথমে বিধাননগর কমিশনারেট এবং পরে মহকুমাশাসকের অফিসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন এই কথা৷ গত কয়েকদিনে সেই লক্ষেই কয়েক ধাপ এগিয়ে গেল রাজ্য প্রশাসন৷ সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার জেলা শাসকের দপ্তর থেকে পুরসভাকে চিঠি দিয়ে জানতে চাওয়া হয় কর্পোরেশনে রূপান্তরিত হওয়ার জন্য তাঁরা তৈরি কি না৷ সেই চিঠিতে জানতে চাওয়া হয়েছিল পুরসভার বিভিন্ন দপ্তরে কত কর্মী আছেন৷ সেই কর্মীদের কর্পোরেশনের আওতায় নিয়ে আসতে কোনও রকম অসুবিধা আছে কি না৷ জানতে চাওয়া হয়েছে পুর এলাকা থেকে যা কর আদায় করা হয় তা কর্পোরেশনের জন্য যথেষ্ট কি না৷

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...