THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA INDIA AGAINST ITS OWN INDIGENOUS PEOPLES

PalahBiswas On Unique Identity No1.mpg

Friday, March 22, 2013

জনসংখ্যা বাড়ছে, তাই ধর্ষণ বাড়ছে: মুখ্যমন্ত্রী

ছত্রধরের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ খারিজ


ছত্রধর মাহাতর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা খারিজ হয়ে গেল ঝাড়গ্রাম আদালতে। প্রমাণের অভাবে ওই মামলা খারিজ হয়ে যায় আজ। ২০০৯ সালে কিষেণজির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ছত্রধর এবং শশধর মাহাত। এই অভিযোগে ছত্রধর মাহাতর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের করে লালগড় পুলিস। 

এরপরে গ্রেফতার করা হয় ছত্রধরকে। পরে রাষ্ট্রদ্রোহিতা মামলায় শুনানি এবং সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। কিন্তু প্রমাণাভাবে আজ সেই মামলায়  ছত্রধরকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেন বিচারক। এখন ইউএপিএ ধারায় জেলে বন্দি ছত্রধর মাহাত। তাঁর বিরুদ্ধে আরও বেশ কয়েকটি মামলা চালু রয়েছে।

Post Your Comment







জনসংখ্যা বাড়ছে, তাই ধর্ষণ বাড়ছে: মুখ্যমন্ত্রী

Update: March 22, 2013 12:19 IST
  • রাজ্যে ক্রমবর্ধমান ধর্ষণের পিছনে নয়া কারণ দর্শালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এই প্রসঙ্গে  বিরোধীদের প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বর্ধিত জনসংখ্যাকেই ধর্ষণ বৃদ্ধির কারণ হিসাবে দায়ী করলেন। বললেন ''বিরোধীরা বলছেন ধর্ষণ বাড়ছে, কিন্তু তার সঙ্গে জনসংখ্যাও তো বাড়ছে।'' তার সঙ্গেই টেনে আনলেন আধুনিকতার প্রসঙ্গও। একই বিষয়ের রেশ টেনে যোগ করলেন ''রাজ্যে শপিং মল, মাল্টিপ্লেক্স বাড়ছে, আমাদের ছেলেমেয়েরা তাই মডার্ন হচ্ছে।''  তবে শুধু এটুকু  বলেই থেমে থাকেননি তিনি। নজীরবিহীন ভাবে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিরোধীদের উদ্দেশে রীতিমত হুমকির সুরে তিনি বলেন ''আমাকে জ্ঞান দেবেন না। বেশি কথা বলবেন না।''

    পার্ক স্ট্রিট থেকে কাটোয়া, এর আগে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ঘটে চলা ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় মুখমন্ত্রী কখনও মন্তব্য করেছেন 'সব সাজানো ঘটানো' কখনও বা নির্যাতিতাকে বিরোধী দলের সদস্য বলে দাবি করেছেন। তাঁর দলের নেতা নেত্রীরাও এ বিষয়ে কুরুচিকর মন্তব্যে পিছিয়ে থাকেননি। 



    কিন্তু এই প্রথমবার  বিধানসভায় দাঁড়িয়ে ধর্ষণের কারণ সম্পর্কে এই ধরনের বিস্ফোরক উক্তি করলেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয় ২২ মাস আগে ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল সুপ্রিমো নিজে জানিয়েছিলেন বিধানসভা বিরোধীদের বক্তব্য পেশ করার জন্যই। 

    এর আগে বিভিন্ন জনসভায় বিরোধীদের মুখে কুলুপ এঁটে থাকার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু সংসদীয় গণতন্ত্রে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে নজিরবিহীনভাবে মুখ্যমন্ত্রী যখন বিরোধীদের কথা বলতে বারণ করেন তখন তা গণতন্ত্রকেই চ্যালেঞ্জ করা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।


    http://zeenews.india.com/bengali/kolkata/population-is-the-reason-behind-increase-of-rape_12211.html


    বৃহস্পতিবার চিড়িয়াখানায় ঢুকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাইপো আকাশ ব্যানার্জির  ঘনিষ্ঠ পরিচয় দিয়ে আধিকারিকের কাছে চাকরির দাবি জানান এক ব্যক্তি। অভিযোগ, নীতেশ সিং নামে ওই ব্যক্তি চিড়িয়াখানার সেই আধিকারিকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। 

    ঘটনার প্রতিবাদে আজ দু`ঘণ্টার জন্য চিড়িয়াখান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্মী সংগঠন। যদিও যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ, সেই নীতেশ সিংকে বেশ কয়েকবার মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোর সঙ্গে দেখা গিয়েছে। 

    গত বছরই দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর কর্তব্যরত এক পুলিস কর্মীকে চড় মারার ঘটনা এবং বোটানিক্যাল গার্ডেনে ঢুকে পড়ার ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোর। সেই দুটি ঘটনাতেই আকাশ ব্যানার্জির সঙ্গে ছিলেন নীতেশ সিং।


    ধাপার মাঠপুকুরে জমি দখলের ঘটনায় নিহত স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অধীর মাইতির বাড়িতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার রাত আটটা নাগাদ তিনি সেখানে যান। তখন বাড়িতে ছিলেন প্রয়াত নেতার স্ত্রী, দুই কন্যা ও দুই জামাই। 

    তাঁদের সঙ্গে কথা বলে গোটা ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করে, পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই তিনি বলেন, বুধবারের ঘটনায় যারা দোষীদের, কড়া শাস্তি দেওয়া হবে। এরপর পরিবারের হাতে দু লক্ষ টাকার একটি চেকও তুলে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে নিহত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অধীর মাইতির পরিবারের দুই সদস্যকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী।


    ডিসেম্বর মাস থেকে বেতন বন্ধ বিধায়কদের। ভাতা বাদ দিয়ে বারোহাজার টাকা বেতন পান বিধায়করা। কিন্তু মার্চ মাস শেষ হতে চললেও এখনও বেতন পাচ্ছেন না বিধায়করা। সরকারের ব্যাখ্যা, বিধায়কদের টেলিফোন সংক্রান্ত বিষয়ে সমস্যা তৈরি হওয়ায় ডিসেম্বর মাস থেকে বেতন বন্ধ রয়েছে। খুব শীঘ্রই জটিলতা কাটবে। তবে বিধায়কদের বেতন সংক্রান্ত জটিলতা কাটাতে কেন তিনমাস লেগে গেল প্রশ্ন উঠছে বিধানসভায়। 

    বিধানসভায় পাস হল স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাধারণ বদলি নীতি সংক্রান্ত বিল। এই বিলের পাস হওয়ায় এবার থেকে পাঁচ বছর সন্তোষজনক কাজের পরই অন্য স্কুলে বদলির আবেদন করতে পারবেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। আজ বিধানসভায় এই বিল পেশ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বদলির ক্ষেত্রে শিক্ষিকাদের বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকারও বদলির আবেদন করতে পারবেন।

    শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলির ক্ষেত্রে এই প্রথম এমন বিল পাস করা হল। দীর্ঘদিন ধরেই বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দাবি ছিল। এই বিল সেই দাবি অনেকটাই পূরণ করল বলে মনে করা হচ্ছে।

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিধানসভায়  পাশ হল উচ্চশিক্ষায় সংরক্ষণ বিল। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় সর্বসম্মতভাবে সেই বিল গৃহীত হল। বামেদের পক্ষ থেকে বিলটি নিয়ে আরও আলোচনার জন্য সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব করেছেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র।  আজ বিধানসভায় পাস হয়েছে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাধারণ বদলি নীতি সংক্রান্ত বিলও।  বিল পাস হওয়ায় এবার থেকে পাঁচ বছর সন্তোষজনক কাজের পরই অন্য স্কুলে বদলির আবেদন করতে পারবেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। 


    কলকাতায় শাহবাগ সংহতি মঞ্চের মিছিল আটকে দিল পুলিস। ঢাকায় শাহবাগ স্কোয়ারে চলা বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের আন্দোলনের সমর্থনে আজ কলকাতায় মিছিলের ডাক দেয় শাহবাগ সংহতি মঞ্চ। লিটল ম্যাগাজিন, নাট্যকর্মী, শিল্পীরা এই মিছিলের ডাক দেন।  

    অ্যাকাডেমি চত্বর থেকে মিছিল শুরুর সময়েই তা আটকে দেয় পুলিস। পুলিসের তরফে জানানো হয়, উচ্চতর কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই মিছিলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। এনিয়ে মিছিলের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় পুলিসের। রাস্তায় বসে পড়েন মিছিলে হাজির মানুষজন। কিছুক্ষণ পর অবরোধ হঠিয়ে দেয় পুলিস। পরে উদ্যোক্তাদের এক প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ হাই কমিশনে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেন।


    ছত্রধর মাহাতর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা খারিজ হয়ে গেল ঝাড়গ্রাম আদালতে। প্রমাণের অভাবে ওই মামলা খারিজ হয়ে যায় আজ। ২০০৯ সালে কিষেণজির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ছত্রধর এবং শশধর মাহাত। এই অভিযোগে ছত্রধর মাহাতর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের করে লালগড় পুলিস। 

    এরপরে গ্রেফতার করা হয় ছত্রধরকে। পরে রাষ্ট্রদ্রোহিতা মামলায় শুনানি এবং সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। কিন্তু প্রমাণাভাবে আজ সেই মামলায়  ছত্রধরকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেন বিচারক। এখন ইউএপিএ ধারায় জেলে বন্দি ছত্রধর মাহাত। তাঁর বিরুদ্ধে আরও বেশ কয়েকটি মামলা চালু রয়েছে।

    Post Your Comment


    তিন বছরে কোটিপতি। এমনটাই অভিযোগ শম্ভুনাথ কাউয়ের বিরুদ্ধে। নিছকই একজন কাউন্সিলর। কিন্তু যে এলাকার কাউন্সিলর, সেই এলাকা আক্ষরিক অর্থেই সোনার খনি। একদিকে ই এম বাইপাসের সিলভার স্প্রিং প্রজেক্ট ( SILVER SPRING PROJECT)। একদিকে দিগন্ত বিস্তৃত ধাপার মাঠ। একের পর এক ভেড়ি। কোনোটা নামে, কোনেটা বেনামে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে শম্ভুনাথ কাউয়ের বিরুদ্ধে। ঠিক কোন পন্থায় কোটি টাকার পাহাড়ে বসলেন শম্ভুনাথ কাউ, তারই কিছু বিশদ তথ্য উঠে এসেছে ২৪ ঘণ্টার হাতে। 

    পুলিসের সামনে দিয়ে বুক ফুলিয়ে ওরা হেঁটে চলে গেল
    বাইট ২...শম্ভুনাথের দলবল ক্লাবের সামনে ইভটিজিং, মাতলামো করত
    বাইট ৩...অধীর মাইতির মেয়ের বাইট
     
    কিভাবে এত দাপট শম্ভুনাথ কাউয়ের? কিভাবে কাউন্সিলর হওয়ার তিন বছরের মধ্যে ফুলেফেপে উঠল তার নামে, বেনামের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট? এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যাচ্ছে ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরের দূর্ণীতির কিস্যা। 
     
    ১) গ্রাম বোঁইচতলা। থানা প্রগতি ময়দান। ওয়ার্ড ৫৮। ধাপার মাঠের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জমির অনেকগুলিই ছোট ছোট প্লটে বেনামে বিক্রি করা হয়েছে জুলাই ২০১০থেকে নভেম্বর ২০১২ র মধ্যে। প্লট পিছু ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা কাঠায় বিক্রি হয়েছে এইসব জমি। অভিযোগ বাসিন্দাদের। পৌরসভার খাতায় জমিগুলি আজও সরকারি সম্পত্তি। যদিও জমিতে তৈরি হয়েছে স্থায়ী একতলা, দোতলা বাড়ি। দোকান। গ্যারেজ। বস্তি। 
     
    ২) এই জমি ছাড়িয়ে আরও একটু এগোলে বারো নম্বর রাস্তা। যা ধাপা ডাম্পিং গ্রাউন্ডের অংশ। রাস্তা জুড়ে আবর্জনার স্তুপ। যেখান থেকে হাসপাতালের বর্জ্য এবং সাধারণ বর্জ্য আলাদা করে ভাগ করা হয়। বাছাইয়ের পর বেশ কিছু আবর্জনা, যা বিক্রয়যোগ্য, তা অন্যত্র চলে যায়। কোথায় যায়? জানে না পুরসভা। সূত্র বলছে, সেগুলি সুকৌশলে সরিয়ে ফেলেন শম্ভুনাথ কাউ। তা বিক্রি করেন অন্যত্র। পুরসভার একসময়ের ব্যবহৃত, এখন বাতিল করা পুরনো চারটি ময়লা ফেলার গাড়ি এবং বর্তমানে ব্যবহৃত দুটি ময়লা ফেলার গাড়ি রোজ ঢোকে এলাকায়। গাড়িগুলির নম্বর 
     
    WB 03 B 7965   
    WB 03 B 8020
    WB 03 B 8014
    WB 03 B 8015
    WB 03 B 8022
    WB 03 B 8023

    বাছাই করা বিক্রয়যোগ্য আবর্জনা নিয়ে গাড়িগুলি অন্যত্র চলে যায়। কোথায় যায়? খবর পৌঁছয় না কলকাতা পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ বিভাগে। 
     
     
    ৩) ধাপার মাঠ জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অজস্র মাছের ভেড়ি। এরমধ্যে চারটি ভেড়ি বুজিয়ে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। বাসিন্দারা বাধা দেওয়ায় এখনও ভরাট করে প্রমোটিং হয়নি। বুধবারের আগে পর্যন্ত যার জেরে লাগাতার প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হত প্রতিবাদকারীদের। এগুলি হল..
     
    বাদা ভেড়ি, ২৫ বিঘা
    চাঁদের ভেড়ি, ১৮০ বিঘা
    চড়কতলা ভেড়ি, ১২০ বিঘা
    চকতলা বেড়ি, ৫০ বিঘা
     
    এছাড়াও সন্ধে নামলেই গোটা এলাকার ইতিউতি বসা চোলাই মদের ঠেক, বাড়ি বা দোকান তৈরি করতে গেলে দশ থেকে ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত তোলা, সবমিলিয়ে টাকা রোজগারে এলাকার একচ্ছত্র অধিপতি হয়ে উঠেছিলেন শম্ভুনাথ কাউ। যাকে ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট দেওয়া হয়েছিল মূলত শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সুপারিশে।  এই ওয়ার্ড ২০১০ সালের পুরভোটের আগে তপশিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত হওয়ায় উপযুক্ত প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছিল না দলীয় নেতৃত্ব। একসময়ে সোমেন মিত্রের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত শম্ভুনাথ কাউয়ের নাম তখন মমতা ব্যানার্জির কাছে সুপারিশ করেন শোভন বাবুই। যে শম্ভুনাথ কাউ এখন আক্ষরিক অর্থেই গলার কাঁটা কলকাতার মহানাগরিকের। 



    তিনি বলেন,বিরোধীরা বলছেন- ধর্ষণ বাড়ছে কিন্তু জনসংখ্যাও তো বাড়ছে৷ গাড়ি-শপিং মল বাড়ছে৷ মানুষ আধুনিক হচ্ছে৷ এগুলিকে স্বাগত জানাতে হবে৷ তিনি আরও দাবি করেন, মানসিকতা আধুনিক হচ্ছে, তাই ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করার সংখ্যাও বাড়ছে ৷ এমনকি, তিনি আরও বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ জানানো হলেও আসলে ধর্ষণের ঘটনা তো নাও ঘটতে পারে৷ উল্লেখ্য, পার্কস্ট্রিট ও কাটোয়া গণধর্ষণের অভিযোগকে সাজানো ঘটনা বলে মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা নেত্রী ও অনুগত বিশিষ্টরাও এবিষয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন।পার্কস্ট্রিট ধর্ষণকাণ্ডে মন্ত্রী মদন মিত্র কার্যত ধর্ষিতার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার ওই ঘটনাকে ক্রেতা ও খদ্দেরের মধ্যে রফা সংক্রান্ত বিবাদ হিসেবে মন্তব্য করেছিলেন। বারাসতের ঘটনায় তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত্ মেয়েদের স্কার্টের সাইজ নিয়েও মন্তব্য করেছিলেন। চলতি অধিবেশনেই হাওড়ার এক তৃণমবল বিধায়ক বলেন, ধর্ষণ ধর্ষণ চিত্কার করে কি লাভ। আপনার,আমার বাড়ির মেয়েরা কি রাত দুটোর সময় বাড়ির বাইরে থাকে। এসবের থেকে একধাপ এগিয়ে এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে ধর্ষণের কারণ সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী। 
    দেশের অন্যান্য শহরের তুলনায় আইন-শৃঙ্খলা ইস্যুতে কলকাতা যে অনেক ভাল অবস্থায় রয়েছে, তা রীতিমত খতিয়ান দিয়েও এদিন প্রমাণ করার চেষ্টা করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তাঁর মন্তব্যের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বিরোধীরা ৷এদিন বিধানসভায় বিরোধী দলনেতাকে উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী কার্যত ধমক  দিয়ে বলেন, 'আমাকে জ্ঞান দেবেন না, বেশি কথা বলবেন না।'

    http://www.abpananda.newsbullet.in/state/34-more/34892-2013-03-22-07-10-08


    একদা বিরোধীনেত্রীর রাজনৈতিক আন্দোলনের ভিত্তি ছিলেন তাঁরা৷ তারা শহিদের পরিবার৷ এদের কারও প্রিয়জনের প্রাণ গিয়েছে তেভাগা আন্দোলনে৷ কেউ আবার নকশাল রাজনীতির সঙ্গে সংশ্রব থাকায় দীর্ঘ দিন কাটিয়েছেন কারাবন্দি হয়ে৷ একদা শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে, আজীবন তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী৷ পরিবর্তনের পর এবার সেই মমতার বিরুদ্ধেই প্রতিশ্রুতিভঙ্গের অভিযোগ তুলে এ বার পথে নামছে শহিদের পরিবারগুলি৷ 
    গুরুপদ সিংহ, বাড়ি চন্দনপিড়ি৷ তেভাগা আন্দোলনে শহিদ হন গুরুপদ সিংহের মা বাতাসী সিংহ৷ ৮১ সাল থেকে ভাতা পান তিনি৷ হঠাত্‍ সেই ভাতা বন্ধ৷ অর্থাভাবে অসহায় এখন এই ৭৩ বছরের বৃদ্ধ৷ 
    ডালিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নকশাল আন্দোলনের পর ঘরছাড়া হন তিনি৷ ৭৮ সালে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ ১০ বছরের কারাদন্ড হয়৷ ৭৭-এ বামেরা ক্ষমতায় এলে জেল থেকে মুক্তি পান৷ ৮২ সাল থেকে পেনশন ও ভাতা পাচ্ছিলেন৷ হঠাত্‍ তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷ 
    অসহায় এই মানুষগুলোর প্রশ্ন, তবে কি আমরা ভিক্ষা করে মরব? 
    অনেকে আবার প্রশ্ন তুলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী যদি ক্লাব, খেলোয়াড়দের টাকা দিতে পারেন, তাহলে আমাদের কেন নয়? 
    মেট্রো চ্যানেলে প্রতিবাদের পাশাপাশি, এদিন এই শহিদ পরিবারগুলির একাংশ বিরোধী দলনেতার সঙ্গেও দেখা করেন৷ 
    রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, যাঁদের একদা বিরোধীনেত্রীর সঙ্গে পরিবর্তনের লড়াইয়ে পা মেলাতে দেখা গিয়েছিল, তাঁদের অনেকেই আজ নানা ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন৷ সেই তালিকায় এবার নয়া সংযোজন শহিদের পরিবার৷ 

    http://www.abpananda.newsbullet.in/state/34-more/34867-2013-03-21-13-15-19


    নয়াদিল্লি:একদিকে, সমর্থনের প্রশ্নে ইউপিএ-কে বার্তা৷ অন্যদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে বঞ্চনার অভিযোগে কেন্দ্রকে কড়া বার্তা৷ 
    আর ১৪ মাস মেয়াদ বাকি থাকতেই শ্রীলঙ্কা ইস্যুতে চূড়ান্ত অস্বস্তিতে পড়েছে ইউপিএ-২ সরকার৷ ডিএমকে কেন্দ্র থেকে সমর্থন তুলে নেওয়ায় অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ এই প্রশ্নে অবশ্য সকলকে চমক দিয়ে বৃহস্পতিবার সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল৷ বুধবারই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, তামিল ভাই, বোনদের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে৷ একটি বিদেশি রাষ্ট্রে তামিলদের প্রতি যে অত্যাচার হচ্ছে, তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন৷...কিন্তু একইসঙ্গে আমাদের দলের নীতি হল, বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে আমরা হস্তক্ষেপ করি না৷ এ বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তা আমরা কেন্দ্রের ওপর ছেড়ে দিই৷ কালই জল্পনা শুরু হয়, তাহলে কি রাজ্যের প্রতি আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করা মমতা সুর নরম করছেন ফের কাছাকাছি আসছে কংগ্রেস ও তৃণমূল. এই অনুমানের প্রেক্ষাপটেই আজ  
    রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ বিবেক গুপ্ত বলেন, রাজ্যের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা মানলে কেন্দ্রকে সমর্থনের কথা ভাববে তৃণমূল৷
    তবে দলীয় সাংসদের মন্তব্যকে ঘিরে জল্পনার মধ্যেই রাজ্যের প্রতি বঞ্চনার অভিযোগে আজও সরব হন তৃণমূল সাংসদরা৷ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে বৃহস্পতিবার দিল্লিতে বিক্ষোভ ধর্নায় বসেন তাঁরা।
    তবে কি রাজ্য রাজনীতির কথা মাথায় রেখে তৃণমূলের এই কৌশল? প্রশ্ন তুলেছেন রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী৷ 
    রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, কংগ্রেসকে ছাড়া আসন্ন লোকসভা ভোটে তৃণমূল নাস্তানাবুদ হতে পারে৷ আর সাংসদ হাতে না থাকলে জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্ব হারাবেন মমতা৷ জাতীয় রাজনীতির অঙ্ক মাথায় রেখে তৃণমূল নিজেদের সুর নরম করছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা৷  তেমনই তৃণমূল নেত্রীকে রাজ্য রাজনীতির কথাও মাথায় রাখতে হচ্ছে বলে মত তাঁদের৷ তাই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগের চড়া সুরও অব্যাহত রাখতে চাইছে তৃণমূল৷ 

    বিজেন্দ্র সিংহ, এবিপি আনন্দ, 


    দিদি, রমেশ বলছি, আপনি আমার উপর রাগ করেছেন?


    দিদি, রমেশ বলছি, আপনি আমার উপর রাগ করেছেন?
    এই সময়: হঠাত্‍ করেই কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন৷ শ্রীলঙ্কা ইস্যুতে তৃণমূলের সমর্থন চাইতে কেন্দ্রের সংসদীয় মন্ত্রী কমলনাথ বৃহস্পতিবার বিকেলে মমতাকে টেলিফোন করেছিলেন৷ এর কিছু ক্ষণ পরেই কেন্দ্রের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশের ফোন আসে মমতার মোবাইলে৷ মুখ্যমন্ত্রীকে চমকে দিয়ে কেন্দ্রের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, 'দিদি, রমেশ বলছি৷ আপনি কি আমার উপর রাগ করেছেন?' মমতা বললেন, 'হ্যাঁ৷' রমেশ হেসে জানতে চাইলেন, 'কেন দিদি?' মমতা বলেন, 'একশো দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গের প্রাপ্য সাড়ে তিনশো কোটি টাকা আপনি দিচ্ছেন না৷ আমাদের সঙ্গে সত্‍ মায়ের মতো আচরণ করছেন৷' জবাবে জয়রাম বলেন, 'দিদি, বিশ্বাস করুন, আমি এ সবের কিছুই জানি না৷ এ সব অফিসারদের গোলমাল৷ আমি অফিসারদের বলছি, এখনই ব্যবস্থা নিতে, যাতে বাংলা বঞ্চিত না হয়৷ আমি কিছু দিনের মধ্যেই কলকাতায় আসছি৷ আপনি আমাকে এক ঘণ্টা সময় দিন৷' মমতার জবাব, 'এক ঘণ্টা কেন, আমি দু'ঘণ্টা সময় দেব৷ আপনি আগে আমাদের বকেয়া পাওনা মেটান৷' 

    এর আগে কমলনাথের সঙ্গেও মমতার দীর্ঘ ক্ষণ ফোনে কথা হয়৷ মুখ্যমন্ত্রী তখন ছিলেন বাঁকুড়ায় সরকারি অনুষ্ঠানে৷ সেখান থেকে কলকাতায় ফিরেই তিনি ফেসবুকে জানান, 'শ্রীলঙ্কার তামিলদের দুর্দশা নিয়ে আমরা বিচলিত৷ কিন্তু ভারত সরকার কী করবে সেটা তাদের ব্যাপার৷ আমরা এই ইস্যুতে কেন্দ্রের পাশে আছি৷ আমরা আশা করব ভারত সরকার স্থানীয় মানুষের আশা-আকাঙ্খাকে মর্যাদা দিয়েই সিদ্ধান্ত নেবে৷' 

    মুখ্যমন্ত্রীর এই ফেসবুক বিবৃতি এবং দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ফোন রাজনৈতিক মহল যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী মনে করছে৷ একে দু'তরফেই বরফ গলানোর প্রয়াস বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ৷ এই জল্পনাকে আগেই উস্কে দিয়েছিল গত সপ্তাহের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর মালদহ সফরের সময়৷ কংগ্রেসের দুই শীর্ষ নেতা-নেত্রী মালদহের জনসভায় মমতা, তৃণমূল এবং রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে টুঁ শব্দটি করেননি সে দিন৷ কংগ্রেস এবং তৃণমূল দুই শিবিরেরই খবর, গত মাসে মুর্শিদাবাদের রেজিনগর, মালদহের ইংরেজবাজার এবং বীরভূমের নলহাটি ভোটের ফলাফল থেকে প্রাক্তন দুই জোটশরিক ফের পরস্পরের কাছে আসার চেষ্টা চালাচ্ছে৷ ওই ভোটের ফলাফলে স্পষ্ট, কংগ্রেস এবং তৃণমূল কেউই একক ভাবে পশ্চিমবঙ্গ দখল করতে পারবে না৷ এই মুহূর্তে তাগিদটা কংগ্রেসেরই বেশি৷ লোকসভা ভোটের আগে তারা ফের তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলাতে চাইছে৷ রাজনৈতিক ভাবে সিপিএম-সহ বামপন্থীরা কংগ্রেসের প্রতি এখন অনেকটাই নরম মনোভাব পোষণ করে৷ ফলে, লোকসভা ভোটের পর বামেদের সমর্থন পাওয়া কংগ্রেসের পক্ষে কঠিন হবে না৷ কিন্তু সমস্যা হল বামেদের আসন প্রাপ্তি নিয়ে৷ তিন কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফলে দেখা গিয়েছে, প্রায় বাইশ মাস ক্ষমতার বাইরে থাকলেও সিপিএম-সহ সব বাম শরিকদের ঘুরে দাঁড়ানো দূরে থাক, তাদের ভোট অনেক কমে গিয়েছে৷ ফলে লোকসভা ভোটে তাঁদের সম্মানজনক জয়ের আশা দেখছে না কংগ্রেস৷ বরং তৃণমূলের পালে এখনও যথেষ্ট হাওয়া আছে বলে বুঝতে পেরেছে কংগ্রেস হাইকমান্ড৷ তাই তারা লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে মমতার সঙ্গে সম্পর্ক জোড়া লাগাতে চাইছে৷ মমতার দিক থেকে সাড়া মিললে লোকসভার ভোট এগিয়ে আনতেও কংগ্রেস পিছপা হবে না বলে খবর৷ কারণ ২০১৪-এ নির্ধারিত সময়ে ভোট হলে কংগ্রেস-তৃণমূলের বিরুদ্ধেই যাবে প্রতিষ্ঠান বিরোধী ভোট৷ 

    তৃণমূল নেত্রী কিছু দিন ধরেই বলছেন, সেপ্টেম্বর নাগাদ লোকসভার অন্তর্বর্তী ভোট হবে৷ তার আগে দু'দলের আসন সমঝোতার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে৷ যদিও এখনও স্পষ্ট নয়, গত সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রের মন্ত্রিসভা এবং ইউপিএ জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসা তৃণমূলের পক্ষে কংগ্রেসের হাত ধরা কী ভাবে সম্ভব৷ কারণ মমতার দাবি মতো কেন্দ্র বাংলার জন্য কোনও প্যাকেজ আজ পর্যন্ত ঘোষণা করেনি৷ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশকুমার গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বিহার প্যাকেজ দাবি করে আসার পর তৃণমূলও ফের বেঙ্গল প্যাকেজের দাবিতে সরব হয়েছে৷ নীতীশ দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁর দাবি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন৷ সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, বাংলা-সহ আরও কয়েকটি রাজ্য বিশেষ প্যাকেজ পেলে তিনি খুশি হবেন৷ এখন দেখার বিশেষ প্যাকেজ দিয়েই মমতার মানভঞ্জনের চেষ্টা হয় কি না৷ 

    রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় খালাস, তবুও বন্দিদশা ঘুচছে না ছত্রধরের



    রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় খালাস, তবুও বন্দিদশা ঘুচছে না ছত্রধরের
    ঝাড়গ্রাম: রাজ্যপাটে 'পরিবর্তন' হলে জঙ্গলমহলে 'মিথ্যা মামলা'য় যাঁরা বন্দি, মামলা প্রত্যাহার করে তাঁদের মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি ছিল আজকের শাসকদের তরফে৷ 

    বিধানসভা ভোটের আগে জঙ্গলমহলে প্রচারে গিয়ে সে দিনের বিরোধীনেত্রী নিজেই একাধিকবার এমন আশ্বাস দিয়েছিলেন৷ মুখ্যমন্ত্রী হয়ে বন্দিমুক্তি পর্যালোচনায় কমিটিও গড়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তবে 'বন্দিমুক্তি' রয়ে গিয়েছে সেই মরীচিকা হয়েই৷ বরং আদালতে বন্দিদের অনেকের জামিনের আবেদনেরও ঘোরতর বিরোধিতা করেছে সরকার৷ এমনকী যে ছত্রধর মাহাতোর সঙ্গে এক সময়ে খাসজঙ্গলে যৌথসভা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর তরফে 'রাজনৈতিক বন্দি'র মর্যাদা চেয়ে আদালতে আবেদন করা হলে পরিবর্তনের সরকার তাঁকে 'বিপজ্জনক সন্ত্রাসবাদী' হিসাবেও চিহ্নিত করেছিল৷ তা সত্ত্বেও হাইকোর্ট রাজনৈতিক বন্দির মর্যাদা দিয়েছিল 'পুলিশি সন্ত্রাসবিরোধী জনসাধারণের কমিটি'র এই নেতাকে৷ মানতে না পেরে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য৷ সংশোধনাগার আইনে পরিবর্তন এনে রাজনৈতিক বন্দির মর্যাদা পাওয়ার অধিকার সংকোচনেরও চেষ্টা চলেছে৷ 

    এই পরিস্থিতিতেই রাষ্ট্রদ্রোহের এক মামলায় আদালত বেকসুর খালাস করল ছত্রধর মাহাতোকে৷ ২০০৯-এর ১৯ সেপ্টেম্বর লালগড় থানায় দায়ের মামলায় বৃহস্পতিবার এই রায় দিয়েছে ঝাড়গ্রাম ফাস্ট ট্র্যাক আদালত৷ বেকসুর খালাসের পক্ষে যুক্তি হিসাবে 'উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণের অভাবে'র কথাই বলেছে আদালত৷ আরও ৩০টি মামলায় আদালত ইতিমধ্যে জামিনও মঞ্জুর করেছে কমিটি-নেতার৷ তবে একটিমাত্র মামলার সূত্রেই আপাতত জেলবন্দি হয়েই থাকতে হবে তাঁকে৷ ২০০৯-এর ২৬ সেপ্টেম্বর ছত্রধরকে গ্রেপ্তারের পরে-পরেই পুলিশ বেআইনি কার্যকলাপ নিরোধক আইনে (ইউএপিএ) যে মামলা দায়ের করেছিল, এখন সেটির বিচার চলছে মেদিনীপুর আদালতে৷ বলা বাহুল্য, টাডা-পোটার মতোই বিবিধ কঠোর ব্যবস্থার সংস্থানযুক্ত ইউএপিএ-তে জামিন এবং হেফাজতের মেয়াদ সংক্রান্ত বিষয়গুলি সাধারণ ফৌজদারি আইনের থেকে আলাদা৷ আপাতত সেই 'বিশেষ কঠোর আইনে'ই আটকে জনসাধারণের কমিটির নেতা৷ 

    এ দিন একটি মামলায় বেকসুর খালাস পাওয়ার পরে কমিটি-নেতার আইনজীবী কৌশিক সিনহা বলেন, 'পুলিশ পরিকল্পিত ভাবে মামলা সাজিয়েছিল৷ এ দিন মামলার রায়ই প্রমাণ করল ছত্রধরকে মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছিল৷' তবে সরকারি আইনজীবী প্রশান্ত রায় জানিয়েছেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে৷ 

    এ দিন যে মামলায় খালাস পেলেন ছত্রধর, সেটি দায়ের হয়েছিল তাঁর গ্রেপ্তারের ঠিক এক সপ্তাহ আগে৷ ২০০৯-এর ১৯ সেপ্টেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি রুজু করেছিলেন লালগড় থানার তত্‍কালীন সাব-ইনস্পেক্টর জলেশ্বর তেওয়ারি৷ পুলিশের দাবি ছিল, লালগড়ের আমলিয়া গ্রামে ছত্রধরের বাড়িতে ওই দিন বৈঠক করেছিলেন সশস্ত্র মাওবাদীরা৷ পুলিশ যাওয়ার আগেই পালিয়ে যান ছত্রধর ও তাঁর সঙ্গীরা৷ পুলিশের তরফে আদালতে জানানো হয়, ছত্রধরের বাড়ির একটি ঘরের মেঝেতে একাধিক মাওবাদী পোস্টার, পুস্তিকা, সশস্ত্র প্রশিক্ষণের ছবি পাওয়া গিয়েছে৷ সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়৷ ২০১০-র ১৮ জুন রাষ্ট্রদ্রোহের এই মামলায় চার্জশিট পেশ করে পুলিশ৷ ২০১২-র ১৪ মার্চ ঝাড়গ্রাম ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে চার্জ গঠন হয়৷ এ দিন সেই আদালতেরই অতিরিক্ত জেলা-দায়রা বিচারক পার্থসারথি চক্রবর্তী জানান, উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস করা হল ছত্রধর মাহাতোকে৷

    তৃণমূলের রোষে কাঁকসায় ফের কাজ বন্ধ এসার গোষ্ঠীর


    তৃণমূলের রোষে কাঁকসায় ফের কাজ বন্ধ এসার গোষ্ঠীর
    স্তব্ধ কারখানায় মাটি কাটা যন্ত্র
    আসানসোল: আবার আক্রান্ত এসার গোষ্ঠী৷ ফের তৃণমূল কর্মীদের বাধায় দুর্গাপুরে বন্ধ ওই গিয়েছে ওই সংস্থার কাজ৷ এক বার রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপে সমস্যা মিটলেও, জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত চার বার শাসকদলের প্রতিরোধের মুখে পড়ল গ্যাস উত্তোলনকারী সংস্থাটি৷ দুর্গাপুর মহকুমার কাঁকসা থানায় মলানদিঘি গ্রামের মাত্র ১৬ জন বাসিন্দা বুধবার ওই সংস্থার পাইপ বসানোর কাজ আটকে দিয়েছেন৷ সংস্থার মালিকপক্ষের তরফে মৌখিক ভাবে ইতিমধ্যে নানা মহলে বিষয়টি জানানো হয়েছে৷
    এসার অয়েল নামে ওই সংস্থার আশঙ্কা, দফায় দফায় এ ভাবে কাজে বাধা পেলে ২০১৪-র মার্চের মধ্যে উত্পাদনের যে লক্ষ্যমাত্রা তাঁরা ধার্য করেছেন, তাতে পৌঁছনো অসম্ভব হয়ে পড়বে৷ পানাগড়ের একটি ম্যাট্রিক্স কারখানায় গ্যাস সরবরাহের জন্য ওই পাইপলাইন পাতার কাজ করছিল এসার গোষ্ঠী৷ মলানদিঘি-সহ মোট পাঁচটি গ্রামে মাটির নিচ দিয়ে ওই পাইপ নিয়ে যাওয়া হবে৷ প্রাথমিক পর্যয়ে ৭ কিমি পাইপলাইন পাতার কথা থাকলেও, এখনও পর্যন্ত মাত্র আড়াই কিমির কাজ হয়েছে৷

    বুধবার ওই কাজ আটকে দেওয়ায় প্রকল্পটির ভবিষ্যত্ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে৷ গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তাঁদের জমি কেটে পাইপ নিয়ে যাওয়া হলেও, প্রতিশ্রতি মতো তাঁদের ক্ষতিপুরণ দেওয়া হচ্ছে না৷ মলানদিহির গ্রামবাসী নবগোপাল ঘোষ বলেন, 'আমাদের বলা হয়েছিল, প্রতি মিটার পাইপ আমাদের জমির নিচে বসানোর জন্য ৩০০ টাকা করে দেওয়া হবে৷ কিন্ত্ত এখনও এক টাকাও আমাদের দেওয়া হয়নি৷' হরিকি গ্রামের বাদল মণ্ডল বলেন, 'দেড় বছর ধরে আমাদের ঘোরানো হচ্ছে৷ কবে টাকা দেওয়া হবে, কেউ স্পষ্ট করে বলছেন না৷ বাধ্য হয়ে আমরা কাজ আটকে দিয়েছি৷'

    পাইপ বসানোর কাজে এসার অয়েল সংস্থার পক্ষে দায়িত্বপ্রান্ত সাইট ইনচার্জ রাকেশ প্যাটেল বলেন, 'সকালে মাটি কাটার কাজ শুরু করতেই গ্রামবাসীরা এসে মেশিনের সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন৷ টাকা না পাওয়া পর্যন্ত ওরা নাকি কাজ করতে দেবেন না৷ গোটা ব্যাপারটা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি৷' এই ঘটনায় এসার গোষ্ঠী প্রচণ্ড বিরক্ত৷ এর আগে রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নেওয়া উত্পাদন আবার শুরু হয়েছিল বটে৷ কিন্ত্ত বার বার এ ভাবে শাসকদলই বাধা দিলে সরকারকে জানিয়ে কতটা কাজ হবে, তা নিয়ে সন্দিগ্ধ সংস্থার মালিকপক্ষ৷

    তাই প্রাথমিক ভাবে মৌখিক ভাবে বুধবার প্রশাসন ও পুলিশকর্তাদের অভিযোগ জানিয়ে আপাতত রেখেছেন তাঁরা৷ সংস্থার পক্ষে জানানো হয়েছে, এ পর্যন্ত ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ফেলেছেন তাঁরা৷ এখন ১৩০টি কূপ থেকে দিনে ৫০ হাজার কিউবিক মিটার গ্যাস তোলা হচ্ছে৷ ২০১৪-র মার্চে উত্পাদন বেড়ে ৩ মিলিয়ন কিউবিক মিটার উত্পাদন করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে৷ মোট ৩,৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে এই প্রকল্পে৷ এসার ওয়েলের উত্পাদিত সেই গ্যাসের ৮০ শতাংশই পানাগড়ের সার কারখানাকে দেওয়া হবে৷

    এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পাননি বলে মন্তব্য এড়িয়েছেন পুলিশ ও প্রশাসন কর্তারা৷ তৃণমূলের কাঁকসা ব্লক সভাপকি দেবদাস বক্সি প্রকল্পের কাজে বাধাদানকারী দলীয় কর্মীদের পক্ষেই দাঁড়িয়েছেন৷ তিনি বলেন, জমির নীচ দিয়ে পাইপ নেওয়া হবে, আর জমির মালিকদের টাকা দেওয়া হবে না, এ আবার হয় নাকি? আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করুক সংস্থাটি৷' যদিও তিনি জানান, কাজে বাধাদানকারীরা তৃণমূলের কর্মী কি না, তা তিনি খোঁজ নিয়ে জানবেন৷
    জবরদখলে অভিযুক্ত পুরসভা
    জমি-নীতি কি বদলেছে, প্রশ্ন কোর্টের
    তৃণমূলের পুরসভার বিরুদ্ধে মামলা করলেন তৃণমূলেরই এক সংখ্যালঘু নেতা। অভিযোগ, পার্ক করার উদ্দেশে জোর করে তাঁর জমি অধিগ্রহণ করছে সরকার। সেই মামলারই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতির মন্তব্য, সরকার কি তার ঘোষিত জমি নীতি পরিবর্তন করেছে? ২০১২ সালের ৩ অক্টোবর রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের প্রধান সচিব আর ডি মিনা রাজ্য সরকারের ওই জমি অধিগ্রহণ নীতি ঘোষণা করেন। যাতে বলা হয়েছিল, কোনও প্রকল্পের জন্য জোর করে জমি নেওয়া হবে না। তার থেকেই এখন সরকার সরে আসছে কি না, প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্ট। 
    সম্প্রতি নিউ আলিপুরে একটি সাত কাঠা জমিতে কলকাতা পুরসভা একটি পার্ক করবে বলে কলকাতার জমি অধিগ্রহণ কালেক্টর জমিটির মালিক নুরুল হুদা লায়েককে অধিগ্রহণের বিজ্ঞপ্তি পাঠান। জমির মালিক প্রথাগত ভাবে ভূমি অধিগ্রহণ কালেক্টরের কাছে আপত্তি জানান। অভিযোগ, আপত্তি জানানোর পরেও ওই জমির মাপজোক করা হয় এবং রাজ্য সরকার জমির ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করবেন বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। এই অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল হুদা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। তার শুনানির সময়েই বিচারপতি জয়ন্ত বিশ্বাস সরকারি আইনজীবীর কাছে জানতে চান এই অধিগ্রহণে সরকারের নীতির বিরোধিতা হচ্ছে কি না। 
    এই মামলা না মেটা পর্যন্ত অধিগ্রহণ স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। রাজ্য সরকারকে জানাতে হবে, তাদের ঘোষিত জমি নীতি পরিবর্তন করা হয়েছে কি না। তেমন প্রয়োজনে সরকার জোর করে অধিগ্রহণ করবে কি না। সরকার যদি নীতির কোনও পরিবর্তন করে থাকে, তা হলে হাইকোর্টকে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে।
    এই মামলার শুনানির সময়ে আবেদনকারীর আইনজীবী হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বলে, সরকার কোনও প্রকল্পের জন্য জোর করে জমি অধিগ্রহণ করবে না। সরকারের বিভিন্ন দফতরকে মুখ্যমন্ত্রী তথা ভূমি ও ভূমি সংস্কার মন্ত্রীর এই ইচ্ছার কথা জানানো হচ্ছে। যদি কোনও দফতর কোনও জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন অনুভব করে, তা হলে মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন নিতে হবে। হারাধনবাবুর বক্তব্য, এই নির্দেশিকা থাকা সত্ত্বেও, কলকাতা পুরসভার ইচ্ছেকে মূল্য দিয়ে কলকাতার ভূমি অধিগ্রহণ কালেক্টর জমি অধিগ্রহণের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। তা হলে কি মুখ্যমন্ত্রীর জমি নীতির বিরুদ্ধে কোথাও ষড়যন্ত্র হচ্ছে? ১৮ ফেব্রুয়ারি অধিগ্রহণের এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। নিউ আলিপুরে ওই জমির পাঁচিলে অধিগৃহীত জমি বলে বোর্ড লাগানো হয়েছে। 
    রাজ্য সরকারের জমি নীতি সংক্রান্ত নির্দেশিকা এবং এই অধিগ্রহণ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দেখে বিচারপতি জানতে চান, এই বিরোধ কেন? সরকারের নীতি যদি পরির্তিত না হয়, তা হলে এই অধিগ্রহণ করা যায় না। তিনি জানতে চান, মুখ্যমন্ত্রী কি এই অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে কোনও বিশেষ অনুমতি দিয়েছেন? এ সবই হলফনামা দিয়ে রাজ্যকে জানাতে বলা হয়েছে। 
    তৃণমূল কংগ্রেস কলকাতা পুরসভায় ক্ষমতায় আসার পরেই আবেদনকারী নুরুল হুদা নিউ আলিপুরের ও ব্লকে তাঁর ৭ কাঠা জমিতে প্ল্যান অনুমোদনের আবেদন করেন। কিন্তু সেই অনুমোদন দেওয়া হয়নি। নুরুল হুদার অভিযোগ, এ বিষয়ে তিনি মেয়রের সঙ্গে দেখাও করেন। মেয়র তাঁকে বন্ধুর মতো পরামর্শ দিয়ে জমিটি বিক্রি করে দিতে বলেন। বারবার আবেদন করেও অনুমোদন না পাওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেন নুরুল হুদা। হাইকোর্ট অবিলম্বে প্ল্যান অনুমোদন করার নির্দেশ দেয়। তবু অনুমোদন মেলেনি বলে অভিযোগ। 
    মেয়রের বিরদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা হয়। বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ মেয়রকে হাইকোর্টে হাজির হয়ে কেন তাঁকে জেলে পাঠানো হবে না, তা জানাতে বলে। এর মধ্যেই মেয়রের আইনজীবী হাইকোর্টে জানান রাজ্য সরকার ওই জমি অধিগ্রহণ করছে। কলকাতা পুরসভা ওখানে শিশুদের জন্য একটি পার্ক তৈরি করবে। এর পরেই কয়েক দিনের মধ্যেই কলকাতার ভূমি অধিগ্রহণ কালেক্টর ওই জমি অধিগ্রহণের বিজ্ঞপ্তি জারি করেন।
    http://www.anandabazar.com/22raj1.html


    কাউয়ের কোটিপতি হওয়ার বিশদ তথ্য-- এক্সক্লুসিভ


No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...