THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA INDIA AGAINST ITS OWN INDIGENOUS PEOPLES

PalahBiswas On Unique Identity No1.mpg

Friday, November 15, 2013

ছেলে পেতে হিন্দু দ্বিতীয় বিয়ে বৈধ গোয়ায়

ছেলে পেতে হিন্দু দ্বিতীয় বিয়ে বৈধ গোয়ায়
Successful_Marriages
এই সময়, নয়াদিল্লি: কে বলে হিন্দু পুরুষেরা এক স্ত্রী থাকতে দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে পারে না? দিব্যি পারে৷ দরকার শুধু গোয়ায় একটা পাকাপাকি বসবাসের ব্যবস্থা করে ফেলা৷


গোয়ায় সংখ্যালঘু হিন্দু জনসংখ্যার জন্য একেবারে খাতায় কলমে রয়েছে এমনই আইন৷ বিয়ের পর ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত স্ত্রী যদি সন্তানধারণ না করতে পারেন, তা হলে স্বামীর দ্বিতীয়বার বিয়ে করার অধিকার রয়েছে৷ শুধু তাই নয়, ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত যদি পুত্রসন্তান না হয় তাহলেও একই নিদান৷ লুকিয়ে চুরিয়ে নয়, একেবারে আইন মেনেই দ্বিতীয় বিয়ে হতে পারে৷ ভারতে আইন কতটা পুরুষপ্রধান তা নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের (ইউনাইটেড নেশনস পপুলেশন ফান্ড) একটি সমীক্ষা রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, অবিলম্বে এই আইন সংশোধন করতে হবে৷ 

কিন্ত্ত কী করে এখনও এই রকম আইন ভারতে থাকতে পারে? রিপোর্টটি যিনি তৈরি করেছেন সেই আইনজীবী চিত্রা সিংয়ের জবাব, কেউ হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে আইনটিকে চ্যালেঞ্জ করেননি৷ তাই সম্ভবত এখনও টিঁকে আছে৷ এখন রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্টে দাবি ওঠার পরেও পরিস্থিতি বদলানো অবশ্য নিশ্চিত নয়৷ ভরা ভোটের মরসুমে গোয়ায় হিন্দু পুরুষদের এই 'অধিকারে' হস্তক্ষেপ করবে কি সেখানকার বিজেপি সরকার? 

রিপোর্টের নাম, ভারতে আইন ও ছেলেদের অগ্রাধিকার, একটি বাস্তবসম্মত সমীক্ষা৷ শুধু গোয়ার এই আইন নয়, রিপোর্ট বলছে, সারা দেশে মেয়েদের স্বার্থরক্ষার জন্য যে সব তথাকথিত 'কঠোর' আইন আছে, তাতে বিপুল ফাঁক আছে, যা দিয়ে অপরাধীরা সহজেই পার পেয়ে যাচ্ছে৷ অনেক সময় আইন আছে, তার সঠিক রূপায়ণ হচ্ছে না৷ কারণ, পুলিশ থেকে বিচারব্যবস্থা পর্যন্ত সব জায়গাতেই পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার প্রধান্য৷ অবস্থা এখন এমন জায়গায় গিয়েছে যে, রিপোর্টে সুপারিশ করা হয়েছে, জনসংখ্যা রোধে মাত্র দু'টি সন্তানের নিয়ম যে সব রাজ্যে আছে তা তুলে দেওয়া উচিত৷ কারণ, এই আইন থাকায় ছেলে-প্রত্যাশী বাবা-মায়েরা বেশি করে কন্যভ্রূণ হত্যা করছে৷ 

রিপোর্টে আইন ধরে ধরে সমীক্ষা করা হয়েছে৷ যেমন পণ রোধ আইন, ১৯৬১৷ তিনবার সংশোধনের পরেও সমস্যার মোকাবিলায় আইনটি ব্যর্থ৷ কেন? রিপোর্ট বলছে, 'পুলিশ অনেক ক্ষেত্রেই এফআইআর নেয় না৷ নিলেও ঠিকভাবে তদন্ত করে না৷ তার ওপর বিচারপতিদের একাংশে লিঙ্গবৈষম্য ভীষণভাবেই বর্তমান৷' 

এ তো গেল বাস্তব অবস্থা৷ আইনের গলদও বিস্তর৷ যেমন সংজ্ঞাতেই সমস্যা৷ পণের জন্য ছেলেদের ওপর অত্যাচার হয়েছে, এমনটা বিরলতম ঘটনা মধ্যেই পড়ে৷ তা সত্ত্বেও আইনে 'পণ'কে লিঙ্গ নিরপেক্ষ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে৷ সর্বোচ্চ আদালতের একটি রায় বলছে, মেয়ের পৈত্রিক সম্পত্তিতে স্বামীর দাবি বা উপহার চাওয়া পণ নয়৷ একটি মহিলা সংগঠন এই রায় পর্যালোচনার আবেদন জানিয়েছিল, খারিজ হয়ে যায় তা৷ রিপোর্ট বলছে, এত যে কন্যাভ্রূণ হত্যা হচ্ছে, তার একটা কারণ হল এই পণের আতঙ্ক৷ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পণের পরিমাণ বাড়ার ধারণা থাকায় এই কারণে তাল মিলিয়ে চলছে বাল্যবিবাহও৷ দেশের ৪৩% মেয়ের বিয়ে এখনও ১৮ বছরের নীচেই হয়ে যায়৷ 

এভাবেই বিভিন্ন আইন বিচার করা হয়েছে৷ রিপোর্টে সুপারিশ করা হয়েছে, সব ব্যক্তিগত সম্পত্তি-সংক্রান্ত আইন সংশোধন করে ছেলে-মেয়ের সম্পত্তিতে সমান অধিকার দিতে হবে৷ উইল করে বা অন্য আইনি ব্যবস্থায় পৈত্রিক সম্পত্তি শুধু ছেলেদের দেওয়া বন্ধ করতে হবে৷ পণ আইনে সংশোধন এনে তা ঠিকভবে রূপায়ণ করতে হবে ও বিলাসবহুল বিয়ে আইন করে বন্ধ করতে হবে৷ সকলের জন্য বার্ধক্য ভাতা দিতে হবে, যাতে বয়স হলে বাবা-মা জীবনধারণের জন্য শুধু ছেলেদের ওপরে নির্ভর না করেন৷ বাধ্যতামূলকভাবে বাবা-মা বা পরিবারের বেছে দেওয়া ছেলের সঙ্গে বিয়ে বন্ধ করতে হবে৷ মর্যাদা-হত্যা বন্ধ করতে কড়া আইন করতে হবে৷ 

সুপারিশ তো অনেক আছে৷ কিন্ত্ত তাতে কি সরকার কান দেবে আদৌ? 

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...