THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA INDIA AGAINST ITS OWN INDIGENOUS PEOPLES

PalahBiswas On Unique Identity No1.mpg

Sunday, June 9, 2013

শব অধিগ্রহণ ও গান স্যালুটসেই ট্র্যাডিশন সমানে চলেছে

শব অধিগ্রহণ ও গান স্যালুটসেই ট্র্যাডিশন সমানে চলেছে

শব অধিগ্রহণ ও গান স্যালুটসেই ট্র্যাডিশন সমানে চলেছে
শব নিয়ে রাজনীতি আমাদের পরম্পরার অংশ৷ বিশেষ করে খ্যাতনামাদের প্রয়াণের পর৷ এই দখলদারি কি রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন নয়? প্রশ্ন তুললেন অনিল আচার্য

এটাই আজকাল সাধারণ সত্য যে খ্যাতনামা কীর্তিমান মানুষের মৃত্যু অবশ্যই হিমালয় পর্বতের চেয়ে ভারি, আর অখ্যাত এবং অকীর্তিমান মানুষের মৃত্যু পাখির পালকের চাইতে হালকা৷ কীর্তিমান মানুষ জীবিত কালে সশরীরে নিশ্চয়ই মূল্যবান, কিন্ত্ত তাঁর খ্যাতিমান হয়ে ওঠার আগের যে জীবনসংগ্রাম, সেখানে রাজনৈতিক দল বা রাষ্ট্রের ভূমিকা গৌণ৷ কিন্ত্ত কীর্তিমান ও খ্যাতিমান হওয়ার পর যদি তিনি প্রয়াত হন, তাঁর শরীর, তাঁর অসহায় শরীরটি অবশ্যই অধিগ্রহণযোগ্য৷ কে বা কারা সেই প্রাণহীন মূল্যবান শরীর অধিগ্রহণ করবে, তা সময়, পরিস্থিতি ও প্রয়োজনের উপর নির্ভরশীল৷ সাধারণত, স্বনামধন্য মানুষের শরীর অধিগ্রহণের অধিকার মূলত যে যখন শাসন-ক্ষমতায় থাকে তার- অর্থাত্ সেই দলের৷

স্বাভাবিক অধিকার

প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীগণ, যেমন রাষ্ট্রপতি থেকে প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়ে রাজ্যের রাজ্যপাল থেকে শাসক দলের মুখ্যমন্ত্রী থেকে যে কোনও মন্ত্রী বা বিরোধী নেতা অর্থাত্ রাজপুরুষ রাষ্ট্রীয় গান্-স্যালুট বা তোপধ্বনির সঙ্গে মহাসমারোহে এই পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে পারেন৷ রাষ্ট্র বা রাজ্য যাঁরা শাসন করেছেন রাজ্য বা রাষ্ট্র তাঁদের শেষ সম্মান জানাবে৷ এটাই স্বাভাবিক৷ তাঁরা জীবিত কালেও রাষ্ট্র দ্বারা অধিগৃহীত শারীরিক ও মানসিক কর্মে লিন্ত ছিলেন৷ তাই মৃত্যুর পর গান্-স্যালুট ও তোপধ্বনি এবং মিলিটারি বিউগ্লে তাদের বিদায় জানানো খুব স্বাভাবিক ও সাধারণ ঘটনা এবং সব আলোচনা ও সমালোচনার ঊর্ধ্বে৷

শহিদ

আর এক ধরনের মৃত্যু ইতিহাসের অন্যতম প্রধান অলংকরণ৷ এই বিশেষ মানুষদের বলা হয় শহিদ৷ কারা শহিদ? যাঁরা দেশের জন্য, মানুষের মঙ্গলের জন্য আত্মবিসর্জন দিয়েছেন৷ একটি বাংলা গানে খুব সুন্দর ভাবে সে কথা বলা হয়েছে: 'মুক্তির মন্দির সোপানতলে কত প্রাণ হল বলিদান, লেখা আছে অশ্রীজলে৷' সেই আত্মবলিদানের দৃষ্টান্তে পরবর্তী প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য প্রকাশ্যে রাস্তার ধারে, ময়দানে বা বিভিন্ন উদ্যানে তাঁদের মর্মরমূর্তি স্থাপন করা হয়ে থাকে৷ আবার এই সব নামিদামি স্থপতি-নির্মিত এই মূর্তিগুলি ব্রোঞ্জ বা অন্য ধাতুতে নির্মিত হতে পারে৷ এই শহিদেরও প্রকারভেদ আছে৷ এক, ব্রিটিশ-ভারতের স্বাধীনতা-সংগ্রামী শহিদ, যেমন ক্ষুদিরাম, ভগত্ সিং, বাঘা যতীন ইত্যাদি৷ অর্থাত্ 'ফাঁসির মঞ্চে গেয়ে গেলে যারা জীবনের জয়গান', তাঁদের সঙ্গে আছেন ব্রিটিশ-পুলিশ বা সৈন্যদের সঙ্গে সশস্ত্র-যুদ্ধে যারা প্রাণ দিয়েছেন৷ আবার গান্ধীজির পথানুসারী হয়ে অনশনে যারা প্রয়াত হয়েছেন, তাঁরাও অবশ্যই শহিদ৷ এঁরা হলেন সর্বজনীন ভাবে গৃহীত শহিদ, অর্থাত্ সব রাজনৈতিক দলের ইস্তেহারে এঁরা বর্তমান৷

দুই, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এবং ষাটের দশকের পর থেকে বা তারও আগে থেকে আমরা পাই দলীয় শহিদ, যাঁরা একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে সংগ্রাম করতে গিয়ে বিরোধী অন্য দলের হাতে নিহত হয়েছেন৷ তাঁর নিজের দল তাঁকে শহিদ মানলেও, অন্য দল মানে না, তাঁদের মতে নিহত ব্যক্তি শহিদ নয়৷ সমাজবিরোধী৷ আবার নির্বাচনকালীন পরিস্থিতিতে কেউ নিহত হলে সেই মৃত ব্যক্তি কোন দলের শহিদ, এই প্রশ্নে মতভেদ ও কোন্দলে আরও শহিদের জন্ম হতে পারে৷ কু-লোকে এটাকে বলে মৃতদেহ দখলের রাজনীতি৷ এঁদের নিয়ে আবেগ বেশ তাত্ক্ষণিক, শহিদ তোমায় ভুলছি না, ভুলব না, এই শপথ নিয়ে মন্ত্রীদের প্রতিশ্রীতির মতো দ্রুত শহিদদের ভুলে যায়৷
যুক্তিবাদী মানুষ বলতেই পারেন, আহা রে! একটা মানুষ মারা গেল, মৃত মানুষের দেহ নিয়ে কেন এত খামচা-খামচি?
খামচা-খামচির কারণ নিশ্চয়ই একটা কিছু আছে যা আমরা জানি কিন্ত্ত বলি না৷ আমাদের দেশে মানুষের মৃত্যু সর্বদাই এক ধরনের সমবেদনা ও সহানুভূতির উদ্রেক করে৷ ভালো মানুষের মৃত্যু অর্থাত্ অনেক মানুষ যাকে ভালো মানুষ বলে জানতে পারে তাঁর মৃত্যুতে অনেক লোক আসেন, আহা-উঁহু করেন এবং পরে বড়ো জোর একটা শোকসভা হয়৷ শোকসভার জনসংখ্যার উপর ব্যক্তির গুরুত্ব নির্ভর করে৷ অসত্, সমাজবিরোধীদের মৃত্যুও অনেক সময় সমবেদনা ও সহানুভূতি সৃষ্টি করে৷

মৃত্যু ও শরীর বিষয়ক অন্য কথা

মৃতদেহ তথা শবকে নিয়ে মানুষের মধ্যে যে গভীর ঘৃণা ও সম্ভ্রমবোধের দ্বন্দ্ব আছে তা অনেক প্রাচীন ধর্ম-ঐতিহ্যের তত্ত্ব ও আকরগ্রন্থে প্রতিফলিত৷ হেমলক-পানের পূর্বমুহূর্তে সক্রেটিসকে সাশ্রীনেত্রে তাঁর প্রিয় শিষ্য ক্রিটো জিজ্ঞেস করলেন, আপনাকে কী ভাবে সমাধি দেব- (হয়তো কবর দেওয়া অথবা জলে ভাসিয়ে দেওয়া অথবা দাহ করার কথা ভাবছিলেন)৷ সক্রেটিস স্বভাবসিদ্ধ তত্ত্বগর্ভ প্রতিপ্রশ্ন করলেন: আমাকে যদি ধরতে পারো মরণের পরে তা হলেই আমার সত্কার বা সদ্গতি করার কথা উঠবে৷ যদি ধরতে পারো যে ভাবে ইচ্ছে সমাধি দিও৷

'যোগবাশিষ্ট'-এ আছে, প্রেমোন্মাদিনী মহারানি লীলা তাঁর স্বামী মারা গেলে পরে তাঁর শবদেহকে ফুলের মালায় সজ্জিত রেখে বসে রইলেন, যতক্ষণ না তাঁর স্বামী পুনর্জীবিত হয়ে ওঠেন৷ 'জীবনে যারে তুমি দাওনি মালা...'

কিন্ত্ত আবার দেখা যায় ক্যাথলিকরা বিশেষ অনুষ্ঠানে যখন যিশুকে স্মরণ করে তখন মন্ত্রপুত ওয়েফার হয় যিশুর শরীর ও রেড ওয়াইন হয়ে যায় যিশুর রক্ত৷ সেটি তাঁরা পরম শ্রদ্ধায় পান করেন৷ ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার পর হয় যিশুর শারীরিক পুনরুত্থান (রেজারেকশন)৷ এখানে শরীরের অর্থ হয়ে ওঠে নতুন অস্তিত্বে সঞ্জাত৷ তাঁকে, শরীরের মধ্যেই গ্রহণ করেন খ্রিস্টধর্মাবলম্বীরা৷

সমকাল, মৃত্যু ও শবদেহ

মৃত্যু, শরীর ও অন্ত্যেষ্টি নিয়ে ভাবনাটা এসে গেল ঋতুপর্ণ ঘোষের প্রয়াণের পর৷ ঋতুপর্ণ ঘোষের মৃত্যুতে ব্যথিত হয়েছেন এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়৷ শুধু চলচ্চিত্রের নয়, সংবাদপত্র, বিজ্ঞাপন, সাহিত্যজগতের বহু মানুষ শোকপ্রকাশ শুধু করেননি, তাঁর এই অকালমৃত্যু নিয়ে আক্ষেপও করেছেন৷ আবার এই ঋতুপর্ণের জীবদ্দশায় তাঁকে কম হেনস্থা হতে হয়নি৷ তিনি নিজে নাকি এক বার বলেছিলেন যে নেহাত চলচ্চিত্র জগতের লোক বলে তিনি অস্তিত্বরক্ষা করতে পেরেছিলেন এবং নেই-নেই করে কুড়িটি ছবি করতে পেরেছিলেন৷ একজন অধ্যাপক বা আটপৌরে মানুষ হলে তাঁর রেহাই মিলত না সরু গলা, মেয়েলি হাবভাব এবং ট্রান্সসেক্সুয়ালিটির জন্য৷ তাঁকে ভ্যাঙানো, তাঁকে নিয়ে উপহাস করার ঘটনা অজস্র৷ রুখে দাঁড়িয়েছিলেন ঋতুপর্ণ৷ বাঙালির যৌন-বিষয়ক চিন্তায় পরিবর্তন করতে এবং আধুনিক চিন্তাভাবনা সঞ্চার করতে তিনি শেষ জীবনে দাপুটে অভিনয় করেছেন৷ সেই দাপটের সেরা দৃষ্টান্ত 'চিত্রাঙ্গদা'৷

যাঁরা বলেন, রাষ্ট্রের ক্ষমতা অহিংস-সর্বংসহা ঘাসের শিকড় থেকে আসে যায়, আর যাঁরা বলেন শক্তির উত্স হল বন্দুকের নল- এত দিন জানতাম তাঁদের রাজনৈতিক মতাদর্শের পরস্পরের সাপে-নেউলের সম্পর্ক৷ কিন্ত্ত সারা জীবন যে সৃষ্টিপাগল সাহসী শিল্পী বাঙালির অন্তরমহলে যৌন তথা লিঙ্গভিত্তিক হিংস্র বিষাক্ত বৈষম্য ও বিকারের প্রতিবাদ করে নরম দরদি মানবিকতায় চলচ্ছবি তৈরি করে হঠাত্ চলে গেল- সেই শিল্পীর মৃতদেহকে বন্দুকের সেলাম জানিয়ে কোন ঘাসের শিকড় নিজেকে পুষ্ট করল- তা কিছুতেই মেলাতে পারা যাচ্ছে না৷ হাজার ঝোড়ো হাওয়া আর পোড়ো বাড়ির ভাঙা দরজা মিলে গেলেও এই মরণোত্তর সম্মানের হিসেব কিছুতেই মিলছে না৷ তিলে তিলে আত্মক্ষয় ও শরীরক্ষয় করে তাঁকে নিজের প্রতিভা ও প্রতিবাদের প্রমাণ দিতে হয়েছে৷ তৈরি হয়েছে নবীন পরিচালকদের ক্ষেত্র৷ কোনও রাজনৈতিক দল কি সেই অভিঘাত ও অভিক্ষেপে তাঁর সঙ্গী হতে পারে? পারে না৷ তাঁর প্রতিভাকে বোঝা বা সম্মান করার সামর্থ্য ক্ষমতাজীবী রাজনৈতিক শাসক বা অশাসকদের থাকতে পারে বলে মনে হয় না৷

শবদেহ অধিগ্রহণ পরম্পরা

মৃত্যুর পর প্রখ্যাত ব্যক্তিদের শরীর অধিগ্রহণ করা, শেষ যাত্রায় টিভি ক্যামেরা ও সংবাদপত্রের সামনে চলে আসা, শোকমিছিল পরিচালনা করা শ্মশানে তাঁকে গান্-স্যালুট দেওয়া এত সব কর্মকাণ্ড ঘটে যায় প্রাণহীন একটি দেহকে অবলম্বন করে৷ সংস্কতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিভাবান ঋতুপর্ণ ঘোষও সেই একই পরম্পরার এক করুণ দৃষ্টান্ত৷ স্বয়ং গান্ধীজিও এই রাষ্ট্রীয় শোকপালন থেকে বাদ পড়েননি৷ অহিংস রাজনীতির প্রধান পুরুষকে নিয়ে শেষকৃত্য হয়েছিল সাঁজোয়া গাড়ির উপর তেরঙ্গা পতাকা দিয়ে সাজিয়ে৷ এই প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথের শেষ যাত্রার কথা বলা যায়৷ এক বিচিত্র উন্মাদনায় সেই শবদেহকে বিকৃত করে দেয় কিছু লোক৷ দাহকর্মের আগে শশ্রীগুম্ফ উত্পাটিত রবীন্দ্রনাথকে চেনার কোনও উপায় ছিল না৷ এই বীভত্স অবমাননা কি প্রাপ্য ছিল রবীন্দ্রনাথের?

এমন কী বামফ্রন্ট সরকারও শবদেহ নিয়ে একই পথের পথিক৷ কবি শক্তি চ‌েাপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর তাঁকে শ্মশানে গান্-স্যালুট দেওয়াটা বেশ দৃষ্টিকটু ও দৃশ্যদূষণ৷ সত্যজিত্ রায়ের মৃত্যুর পর তেমন কাণ্ড হয়েছিল কি না মনে নেই৷ তবে এক সমাজবিরোধীকে নিয়ে গোলমাল হয়েছিল৷ এই সে দিন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর তাঁর দেহ নিয়ে হঠাত্ শোকমিছিলে ঝাঁপিয়ে পড়ার দৃষ্টান্ত অমলিন৷ কিন্ত্ত তাঁর অন্ত্যেষ্টিতে গান্-স্যালুট দেওয়া হয়নি৷ তিনি কি ঋতুপর্ণর চাইতে কম গুরুত্বপূর্ণ এবং কম প্রতিভাবান ছিলেন? আর কে প্রতিভাবান সেটা কি গান্-স্যালুট দিয়ে নির্ধারিত হয়?

অন্তত দু'জন মানুষ এই গরিমাময় দৃষ্টান্তের শিকার হননি৷ একজন সমর সেন, এবং অন্য জন শম্ভু মিত্র৷ তাঁরা চেয়েছিলেন হই-হগোলের বাইরে থেকে ক্যামেরা এড়িয়ে পৃথিবীকে শেষ বিদায় জানাতে৷ নীরবে নিঃশব্দে পৃথিবীকে শেষ বিদায় জানিয়ে চলে গিয়েছিলেন তাঁরা৷ তাঁদের ইচ্ছাক্রমে আত্মীয়স্বজনরাও তাঁদের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিলেন তাঁদের দাহকার্য সমান্ত হওয়ার পরে৷

এই যে মানব শরীর, বাইবেলে কথিত, ঈশ্বর নিজের আদলে তা সৃষ্টি করেছিলেন৷ এই মানব শরীর নাকি দেবতার মন্দির৷ এই শরীর নিয়ে যে-কোনও রাজনীতি এক ধরনের ভায়োলেন্স অথবা এক ভয়ংকর হিংসা-লীলা৷ ক্ষমতার দখলদার নেতা মন্ত্রী-সান্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও অন্যান্যদের গান্-স্যালুট দেওয়া হয়তো এক রাষ্ট্রীয় সামরিক কর্তব্য৷ কিন্ত্ত রাষ্ট্র বা শাসকদল কি একজন কবি, একজন শিল্পী, একজন সাংস্কতিক ব্যক্তিকে যিনি তাঁর প্রতিভার পরিচয় রেখে বিদায় নিতে চান তাঁকে স্বস্তি বা সেই পরম শান্তিটুকুও দেবে না? বন্দুক হোক বা তোপধ্বনি হোক, এই শাসকসুলভ অধিগ্রহণ থেকে তাঁর প্রাণহীন শরীরকে মুক্তি দেওয়ার অনুরোধ জানানো নেহাত দুঃসাহসিক ধৃষ্টতা বলে গণ্য হতে পারে কি?
ভেবে দেখতে হবে, একজন নির্ভীক নির্দলীয় স্বতন্ত্র কলাসাধকের শরীরের উপর দল ও ক্ষমতায় এনডোর্সমেন্ট-এর ছাপ্পা
মেরে দেওয়া 'কর্পোরেট' আগ্রাসন কিনা৷ ভুললে চলবে না 'কর্পাস' শব্দের মূল অর্থ মানুষের শরীর৷ ব্যতিক্রমী ও কালজয়ী শিল্পীর শরীরের উপর এই স্বৈরাচার অনন্য এক সম্মাননা নয়, অবমাননা৷ শুধু জীবনেরই নয়, মৃত্যুরও অবমাননা৷ বিষয়টি নিয়ে অতঃপর বিবেচনা শুরু হবে, আশা করি৷

মতামত লেখকের ব্যক্তিগত৷

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...