THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA INDIA AGAINST ITS OWN INDIGENOUS PEOPLES

PalahBiswas On Unique Identity No1.mpg

Thursday, October 31, 2013

গুগলের ডেটাবেস হ্যাক মার্কিন গোয়েন্দাদের

গুগলের ডেটাবেস হ্যাক মার্কিন গোয়েন্দাদের

ওয়াশিংটন: বাঘে ছুঁলে নাকি ১৮ ঘা, আর স্নোডেন ছুঁলে? আপাতত তারই হিসেব চলছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার অন্দরে৷ এতদিন অভিযোগ তুলেছিল ফ্রান্স, স্পেন ও জার্মানির প্রশাসন, এ বার সেই দলে নাম লেখাল ইন্টারনেট জগতের অন্যতম শিরোমণি গুগলও৷ অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর৷ নজরদারি চালাতে গিয়ে গুগলের ডেটাবেস হ্যাক করেছেন মার্কিন গোয়েন্দারা৷ 


বাষিক ৫ হাজার কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি মূল্যের ব্যবসা করে মার্কিন বহুজাতিক সংস্থা গুগল৷ শেয়ার বাজারের নিরিখে আমেরিকার সেরা একশোটি সংস্থার মধ্যে অনায়াসে জায়গা পায় গুগল৷ এমন শক্তিশালী একটি সংস্থার তথ্যভাণ্ডারে চুরি? তা-ও নিছক সন্দেহের বশে. আপাতত এই নিয়েই তোলপাড় আন্তর্জাতিক বিশ্বে৷ 

আমেরিকার মাটিতে বসে কেউ রাষ্ট্রবিরোধী চক্রান্ত করছে কিনা তা জানার অধিকার রয়েছে মার্কিন প্রশাসনের৷ সেই মতো সরকারকে সাহায্যও করে গুগল ও ইয়াহু-র মতো বড় সংস্থারা৷ নজরদারির জন্য মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি (এনএসএ) তৈরি করেছিল 'প্রিজম' নামে একটি শক্তিশালী সফটওয়্যার৷ 

কিন্ত্ত মার্কিন ভূখণ্ডের বাইরে এমন নজরদারি একেবারেই আইনবিরুদ্ধ বলে জানিয়েছেন গুগলের কর্তারা৷ পুরো ঘটনার সূত্রপাত অবশ্য 'ওয়াশিংটন পোস্ট' কাগজে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে৷ মার্কিন কম্পিউটার বি‌েশেষজ্ঞ এডওয়ার্ড স্নোডেনই নাকি মার্কিন ওই সংবাদপত্রকে জানিয়েছেন খোদ 'ইন্টারনেট দৈত্য' গুগলের-ই ডেটাবেস হ্যাক করে ফেলেছেন মার্কিন গোয়েন্দারা৷ 

কী ভাবে চলছে গুগলের মতো বহুজাতিক সংস্থার ডেটা সেন্টারে হ্যাকিংয়ের কাজ? না, সাধারণ মানের হ্যাকাররা যা করে থাকেন অর্থাত্‍ সার্ভার হ্যাকিংয়ের পথে হাঁটেননি মার্কিন গোয়েন্দারা৷ স্নোডেন জানিয়েছেন, ওই পথে কাজ সারা খুব সহজ কাজ নয়৷ কারণ, গুগল বা ইয়াহু-র মতো সংস্থাগুলি তাদের সার্ভারকে এমন শত্রুর হাত থেকে বাঁচাতে উপযুক্ত ব্যবস্থাও নেয়৷ 

কিন্ত্ত ফাইবার অপ্টিকের মধ্যে দিয়ে যখন অজস্র তথ্য আদান-প্রদান করা হয়, তখনই সেই তথ্য চুরি করে নেয় এনএসএ৷ বহু ক্ষেত্রেই গুগলের সার্ভারে তথ্য পৌঁছানোর আগেই ডেটা সেন্টার থেকেই তথ্য তুলে নেয় এনএসএ৷ কতটা পরিমাণ তথ্য এমন ভাবে সরানো হয় নিয়মিত? প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে প্রতিদিন সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ রেকর্ড এমন বেআইনি পদ্ধতিতে হাতিয়ে নেওয়া হয়৷ 

কেবলমাত্র মার্কিনরাই নন, এই চুরিতে তাঁদের দোসরের ভূমিকা নিয়েছেন ব্রিটিশ গোয়েন্দারাও৷ গভর্নমেন্ট কমিউনিকেশন হেডকোয়ার্টার্স (জিসিএইচকিউ) গোয়েন্দাদের কাছে চুরির পর যাবতীয় তথ্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় 'মাস্কিউলার' নামে এক কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের সাহায্যে৷ এরপর সেই বিপুল পরিমাণ তথ্যের শ্রেণিবিভাগ করে তা বিভিন্ন বিভাগের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বিশ্লেষণের জন্য৷ 

গুগলের পক্ষ থেকে সংস্থার আইনজ্ঞ ডেভিড ড্রামন্ড জানিয়েছেন, তাঁর সংস্থা মার্কিন প্রশাসনকে কোনও তথ্য সরবরাহ করেনি৷ তবে, এমন যে হতে পারে তা তাঁরা আগেই আন্দাজ করেছিলেন৷ - সংবাদসংস্থা

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...