THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA INDIA AGAINST ITS OWN INDIGENOUS PEOPLES

PalahBiswas On Unique Identity No1.mpg

Thursday, October 31, 2013

বিকল্প জোটের শুরুটা জমল না

বিকল্প জোটের শুরুটা জমল না
convention
পড়ে গেলেন কারাট ও ক্ষিতি।
নয়াদিল্লি: লক্ষ্য, ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলিকে এক করা, কিন্তু সে ফ্রন্ট আদৌ সফল হবে কি না, তার ইঙ্গিত প্রথম দিনের সম্মেলনে অন্তত মিলল না৷

তৃতীয় ফ্রন্ট গঠনের লক্ষ্যে আয়োজিত সম্মেলনে নীতীশ কুমার, মুলায়ম সিং যাদব-সহ চোদ্দটি দলের নেতাদের এক মঞ্চে আনতে পেরেছিলেন বামেরা৷ তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা আসেননি, তবে তাঁর লেখা ভাষণ পড়ে শুনিয়েছেন এআইএডিএমকে নেতা থাম্বিদুরাই৷ অনুপস্থিত তৃণমূল ও বিএসপি৷ 

বুধবার শুধুমাত্র সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রশ্নেই দলগুলি একজোট হয়েছিল৷ নেতৃত্ব নিয়ে যাতে বিতর্ক না হয়, তাই সম্মেলনের সভাপতি করা হয় ঐতিহাসিক ইরফান হাবিবকে৷ এ পর্যন্ত ঠিক পথেই এগোচ্ছিল, কিন্ত্ত নেতাদের বক্তৃতা শুরু হতেই স্পষ্ট হল দলগুলির বিরোধ৷ সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে একসঙ্গে কর্মসূচি নেওয়া বা আন্দোলন করা দূরে থাক, তাঁরা ব্যস্ত ছিলেন নিজেদের কৃতিত্ব জাহির করতে৷ নীতীশ কুমার ও বাবুলাল মারান্ডি ছাড়া কেউই ভবিষ্যতে এই মঞ্চকে টিকিয়ে রেখে কর্মসূচির ভিত্তিতে এগোনোর কথাও বললেন না৷

মুলায়ম সিং যাদব তো প্রথমেই ঘোষণা করে দিলেন, মঞ্চে যে ১৪টি দলের নেতারা আছেন, তার মধ্যে একমাত্র তিনিই সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আগাগোড়া লড়াই করছেন৷ তাঁকে শুধু বামপন্থীরা সাহায্য করেছে৷ অর্থাত্‍, নীতীশ, বিজেডি, জয়ললিতা, বাবুলাল মারান্ডি, অসম গণপরিষদ, মনপ্রীত বাদল সকলেই যে একসময় বিজেপির সঙ্গে ছিলেন তা বুঝিয়ে দিয়েছেন মুলায়ম৷ এ দিন তালকাটোরা স্টেডিয়ামে সবথেকে বেশি ভিড় জমিয়েছিলেন মুলায়মের সমর্থকেরাই৷ স্লোগান দিতে থাকা সমর্থকদের থামাতে মুলায়মকে বারকয়েক ধমকও দিতে হল৷ তাঁদের দাবি মানতে বাধ্য হলেন সঞ্চালক সীতারাম ইয়েচুরি৷ মুলায়মকে অনেক আগেই ভাষণ দিতে ডাকতে হল৷ তাঁদের 'নেতাজি'র ভাষণ শেষ হওয়ার পর তালকাটোরা অনেকটাই খালি হয়ে গেল৷

তবে মুজফফরনগরের দাঙ্গা এখনও মুলায়মের অস্বস্তির কারণ৷ তার জবাবদিহি দিয়ে জানালেন, তিনি এখন যে ব্যবস্থা নিয়েছেন, তাতে মুসলিমদের মনোবল কমবে না৷ কিন্ত্ত সিপিআই নেতা এ বি বর্ধন জানিয়ে দিলেন, দাঙ্গার পর যাঁরা ত্রাণশিবিরে আছেন, তাঁদের ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করুন মুলায়ম৷ নীতীশ আবার প্রথমেই বলে দিলেন, 'কোনও দাঙ্গা হলে জেলার ডিএম ও এসপি দায়ী হওয়া উচিত৷ তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷' একমাত্র নীতীশই এ দিন নরেন্দ্র মোদীর নাম না করে তাঁর সাম্প্রদায়িক কর্মসূচি, ফ্যাসিবাদী চরিত্র নিয়ে বলেছেন৷ অন্যরা কোথাও মোদীর নাম পর্যন্ত করেননি৷ 

থাম্বিদুরাইও জয়ললিতার যে ভাষণ পড়লেন, তাতে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের থেকে তামিলনাড়ুতে সরকার গরিবদের জন্য কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তার বিস্তারিত বর্ণনা ছিল৷ পিছিয়ে ছিলেন না দেবগৌড়াও৷ প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন কী করেছিলেন, সে কথা শোনালেন৷

বাবুলাল মারান্ডি বলেন, 'দেশের ৮০ শতাংশ গরিব, পিছিয়ে পড়া মানুষদের সমস্যা সমাধানের জন্য দলগুলি কী ভাবছে তা আগে বলতে হবে৷' প্রকাশ কারাটের দাবি, 'অন্য বিষয়ে দলগুলির মতবিরোধ থাকতে পারে, কিন্ত্ত সাম্প্রদায়িকতার বিরোধিতা নিয়ে সকলে একমত৷ কংগ্রেসের বিরুদ্ধেও একমাত্র কারাটের বক্তৃতাতেই সামান্য বিরোধিতা শোনা গিয়েছে, অন্যরা কংগ্রেসের নামও মুখে আনেননি৷এদিনের সম্মেলনে বাম নেতাদের সংখ্যাই ছিল বেশি৷ উপস্থিত ছিলেন বিমান বসু, ক্ষিতি গোস্বামী, দেবব্রত বিশ্বাস, অবনী রায়ের মতো নেতারা৷

তৃণমূল নেতা মুকুল রায় এ দিন এই সম্মেলন সম্পর্কে বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গ ও জাতীয় রাজনীতিতে সিপিএম এখন অপ্রাসঙ্গিক৷ নিজেদের দল রাখতে পারছে না, আবার তৃতীয় ফ্রন্টের কথা বলছে! লোকসভা ভোটের পর সিপিএম বিরল প্রজাতির প্রাণিতে পরিণত হবে৷'

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...